আইন আইনেরই কাজ করেছে, হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে এনকাউন্টার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সাইবেরাবাদের সিপি ভিসি সাজ্জানার।
পুলিশ কেন গুলি চালাল, সেই সমালোচনার উত্তরেই তিনি বলেন, “আমি এটুকুই বলতে পারি আইন আইনের কাজ করেছে”।
তিনি জানিয়েছেন, চার অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০), এই চারজনই পুলিশের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারপর তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তাঁরা লাগাতার আক্রমণ চালায়। আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালানো হয়।
সাইবেরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জানার বলেন, “আমাদের গুলি চালানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না, তাঁরা আমাদের দিকে অনবরত পাথর এবং ধারালো জিনিস ছুঁড়ে মারছিল, আমাদের অস্ত্র কেঁড়ে নেয়।”
সজ্জানার দাবি করেছেন, “দশজন পুলিশ অফিসারদের মধ্যে দু’জন গুরুতরভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে তা গুলির আঘাত নয়”।
নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখে ঘটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে এই চার অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে ভোর ৫:৪৫ মিনিটে নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁদের হাতে কোনও হাতকড়া ছিল না। ওই চার অভিযুক্ত একসাথে পুলিশের উপর আক্রমণ করে।
সিপি ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, “শেষ চারদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল যেখানে বহু তথ্য উঠে এসেছে। অপরাধের স্থানে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মহিলার মোবাইলের খোঁজে যাওয়া হয়।
ন্যাশনাল হিউম্যান রাইট কমিশন এই প্রসঙ্গে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের একটি প্রতিনিধি দলকে তদন্তের জন্য তেলেঙ্গানা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর তাঁরা রিপোর্ট জমা করবেন কমিশনে।