পুলিশ দারুণ কাজ করেছে, দয়া করে পুলিশের হাত বাঁধবেন না: নির্ভয়ার মা

২০১২-র এরকমই এক ডিসেম্বরে দিল্লির বুকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল এক তরুণীকে। দেশবাসী তাঁর নাম দিয়েছিল নির্ভয়া। এরপর বছর গড়িয়েছে। বিচারের আশায় দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াতে হয়েছে তাঁর মা আশা দেবীকে। অনেক চোখের জল ফেলেছেন তিনি। দিনের পর দিন ধর্ষণের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন।

৬ ডিসেম্বর সকাল। তেলেঙ্গানার পশু চিকিৎসকের ধর্ষকদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বসিত তিনি। বললেন, পুলিশ যা করেছে ঠিক করেছে। দয়া করে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবেন না।

এদিন তিনি বলেন, সরকারের আজ দেখা উচিৎ হায়দরাবাদ পুলিশ কীভাবে নজির গড়েছে। এই শাস্তিতে অত্যন্ত খুশি তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি গত সাত বছর ধরে বলে আসছি, ধর্ষকদের শাস্তি দিন। প্রয়োজন হলে নিয়ম ভেঙে শাস্তি দিন। আজ অন্তত কারও মেয়ে সুবিচার পেয়েছে।’

শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েচে চার অভিযুক্তের। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। ওই পথেই পালানোর চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা।

শাদনগরের যে রাস্তায় ওই চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। চারজনই পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য তাদের ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখনই তারা পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ।

গত কয়েকদিন ধরেই তেলেঙ্গানা ধর্ষণ-কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছিল সব মহল থেকেই। এমনকি তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান জয়া বচ্চন সহ একাধিক সাংসদ।

তেলঙ্গানায় গত বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে, যাতে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ২৬ বছরের ওই তরুণীর আধপোড়া দেহাংশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) নামে এই চার জনই ট্রাকের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ ও ৩৬২ ঝারায় অপহরণের অভিযোগ আনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.