আইএসএলে দুই প্রধানের মতো দশা হয়েছে ইপিএলে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। দুই প্রধানের মতোই লাল ম্যাঞ্চেস্টারের রক্ষণের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে তা চোখে দেখা যাচ্ছে না। রবিবার আরও এক বার তা বোঝা গেল। ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ০-৩ গোলে হারল। তবে টটেনহ্যাম যা খেলেছে তাতে গোলের ব্যবধান আরও বেশি হলে বলার কিছু থাকত না। ম্যাচে বিতর্ক দেখা দিল ব্রুনো ফের্নান্দেসের লাল কার্ড নিয়েও।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের সমর্থকেরা নিজেদের আসনে ঠিক মতো বসার আগেই গোল খেয়ে যায় ম্যান ইউ। মার্কাস রাশফোর্ড বল নিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও হারান। সেই বল ধরে ম্যান ইউয়ের চার ফুটবলারকে কাটিয়ে বিপক্ষের বক্সের কাছে পৌঁছে যান মিকি ফান ডে ভেন। সেখান থেকে তাঁর নিচু ক্রসে পা ঠেকিয়ে গোল করেন ব্রেনান জনসন।
১১ মিনিটে জেমস ম্যাডিসন দ্বিতীয় গোল করতে পারতেন। বাঁচিয়ে দেন ম্যান ইউ গোলকিপার আন্দ্রে ওনানা। ২০ মিনিটে জনসনের শট লাগে পোস্ট। যত সময় যাচ্ছিল ম্যান ইউয়ের দুর্দশা প্রকট হচ্ছিল। টটেনহ্যামের প্রতিটি আক্রমণেই গোল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। অল্পের জন্য ব্যবধান বাড়েনি। ইউনাইটেডের ডিফেন্ডারেরা বুঝতেই পারছিলেন না কী করবেন। কার কী ভূমিকা সেটাই স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছিল না।
দুর্দশা আরও বাড়ে ৪২ মিনিটে। পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে ম্যাডিসনকে ট্যাকল করেন ব্রুনো। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান। ব্রুনো বিশ্বাসই করতে পারেননি। মাথা নাড়তে নাড়তে সাজঘরে ফেরেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধ আরও কঠিন হতে চলেছে তাদের কাছে।
ঠিক সেটাই হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোল করে টটেনহ্যাম। এ বার ডান দিক থেকে বল নিয়ে উঠে গিয়েছিলেন জনসন। সেই বল দিয়োগো দালত প্রতিরোধ করার পর আচমকা লাফিয়ে উঠে বাঁ পায়ে গোল করেন দেজান কুলুসেভস্কি। বিরতির পর ম্যান ইউ সমর্থকেরা কোচ এরিক টেন হ্যাগের উদ্দেশে গাইতে শুরু করেছিলেন, ‘কাল সকালেই তোমায় ছাঁটাই করা হবে’। এই গোলের পর তা আরও বাড়ে।
টটেনহ্যাম তৃতীয় গোল করে ৭৭ মিনিটে। লুকাস বার্গভালের কর্নার পাপে সারের মাথা ছোঁয়ার পর এগিয়ে এসে গোল করেন ডোমিনিক সোলাঙ্কে। সেখানেই টটেনহ্যামের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।