‘কোয়াড’ সদস্য রাষ্ট্রগুলির বৈঠকে যোগ দিতে তিনদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকের আগেই ডেলাওয়ারে বাইডেনের বাড়িতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই আলোচনার পরেই রবিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, কলকাতায় গড়ে উঠবে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা। দুই রাষ্ট্রনেতা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ’ নামের এক বহুজাতিক সংস্থা সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এ বার কলকাতায় গ্লোবাল ফাউন্ডারিজের একটি কারখানা তৈরি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে মোদী ও বাইডেন উভয়েই। সুত্র অনুযায়ী এই কারখানার নাম হতে পারে ‘জিএফ কলকাতা পাওয়ার সেন্টার’। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে এই বৈঠকে উপকৃত হবেন দুই দেশের সাধারণ মানুষ এবং আরও মজবুত হবে দুই দেশের সম্পর্ক। পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, টেলি কমিউনিকেশন এবং শক্তি প্রয়োগের জন্য উন্নত সেন্সিং, যোগাযোগ এবং পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের ওপর নজর রেখে একটি নতুন সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট গড়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার। হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ কলকাতা পাওয়ার সেন্টার চিপ তৈরিতে গবেষণা ও উন্নয়নে পারস্পরিক যোগসূত্র বাড়াবে। কারখানাটি তৈরি হলে এআই এবং ডেটা সেন্টারের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হবে। এর পাশাপাশি এমকিউ ৯বি প্রিডেটর ড্রোন নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই পক্ষের। এই কারখানা তৈরির মূল উদ্দেশ্য ইনফ্রারেড, গ্যালিয়াম নাইট্রাইড এবং সিলিকন কার্বাইড সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা। যা ভারতের ‘সেমিকন্ডাক্টর মিশন’-এর সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের।
উল্লেখ্য, উইলমিংটনে কোয়াড সামিটে মিলিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ দিন অর্থাৎ ২৩ তারিখ নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির।