পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে অনার্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, ডিন সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের চার ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে একাধিক দাবিতে প্রিন্সিপালকে অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
বিক্ষোভকারী ডাক্তারি পড়ুয়াদের অভিযোগ, কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশি নম্বর পাইয়ে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার বেশি নম্বর প্রাপকদের নম্বর কমিয়ে দিয়ে অনার্স পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সিন্ডিকেট গড়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এই ধরনের কাজ করা হয়েছে। যারা এই কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দাবিতে এদিন রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, ডিন সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিককে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ ডাক্তারি পড়ুয়াদের।
চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র ফিরোজ আলম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এখানে দুর্নীতি চলছিল। সব থেকে বড় দুর্নীতি নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া। যারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত তাদের বেশি করে নম্বর দেওয়া হত। যারা তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত নয় তাদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হত। এনিয়েই আধিকারিকদের বলেছিলাম তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আধিকারিকরা যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এতদিন এড়িয়ে গিয়েছেন। বিরুপাক্ষ, অনিকেত গাঙ্গুলি, অভিক দে’র মাধ্যমে নম্বর বাড়ানোর দুর্নীতি হত। তাই আমরা ঘেরাও করেছিলাম। এখন আধিকারিকরা কিছুটা স্বীকার করছেন। কয়েকটি দাবি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। দেখা যাক তদন্তের কি অগ্রগতি হয়। নইলে ফের ঘেরাও করা হবে।”
প্রিন্সিপাল করবী বরাল বলেন, “কিছু দাবি ওদের ছিল। আমরা সেই দাবি পূরণের চেষ্টা চালাব। তবে চিকিৎসকের নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে।”