ট্রফির গন্ধ পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ শেষ দিকে এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার সুপার সিক্সে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সামনে মহমেডান। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে এ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রায় নিশ্চিত করতে চাইছে লাল-হলুদ।
নৈহাটির মাঠে মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে না খেললেও নৈহাটিকেই ঘরের মাঠে পরিণত করার আহ্বান করেছেন লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ। ম্যাচের আগের দিন তিনি বলেন, “মহমেডানের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলব না। নৈহাটিতে খেলা। আমি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আবেদন জানাব মাঠ ভরাতে। নৈহাটিকেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব করে তুলতে হবে।” জর্জ আরও জানিয়েছেন, চলতি মরসুমে যে ভাবে খেলছেন সে ভাবেই খেলতে চান তাঁরা। কোচ বলেন, “আমরা এ বার আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছি। মহমেডানের বিরুদ্ধেও তেমনই খেলব। ওরা শক্তিশালী দল। পরিকল্পনায় কিছু বদল করেছি। জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না।”
মহমেডানকে হারালে টানা ১০টি ম্যাচ জিতবে ইস্টবেঙ্গল। এ বার অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে দল। গ্রুপ পর্ব ও সুপার সিক্স মিলিয়ে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ১৩টি। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। এ বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সবচেয়ে এগিয়ে লাল-হলুদ।
১৪ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। দ্বিতীয় স্থানে ডায়মন্ড হারবার। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৬। সমসংখ্যক ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে ভবানীপুর। এ বার মহমেডানের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সকলের শেষে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা।
সুপার সিক্সে সব দলের আর তিনটি করে ম্যাচ বাকি। ইস্টবেঙ্গল খেলবে মহমেডান, ডায়মন্ড হারবার ও ভবানীপুরের বিরুদ্ধে। মহমেডানকে হারাতে পারলে ১৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট হবে ইস্টবেঙ্গলের। যদি ডায়মন্ড হারবার পয়েন্ট নষ্ট করে তা হলে অন্তত ৬ বা ৭ পয়েন্টে এগিয়ে যাবে লাল-হলুদ। আর যদি ডায়মন্ড হারবারও পরের ম্যাচ জেতে, তা হলে দুই দলের মধ্যে ৪ পয়েন্টের তফাত থাকবে। পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও ডায়মন্ড হারবার। সে ক্ষেত্রে সেই ম্যাচেই হয়তো ঠিক হয়ে যাবে এ বার লিগ কার দখলে যাবে।
সেই কারণে, শুক্রবারের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মহমেডানকে হারাতে পারলেই লিগ জয়ের পথে এক পা বাড়িয়ে দেবে ইস্টবেঙ্গল। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সেই লক্ষ্যে এগোতে চায় তারা।
শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে শুরু ইস্টবেঙ্গল বনাম মহমেডান ম্যাচ। সরাসরি খেলা দেখা যাবে জি ২৪ ঘণ্টা চ্যানেলে।