ভরা কোর্টে চূড়ান্ত অপমান বিচারপতির। লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে চূড়ান্ত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত পুলিসের। সোজা তিনি চলে যান রেললাইনে। ট্রেনের নিচে নিজের জীবন দেবেন বলেই গোঁ ধরে শুয়ে পড়েন সেখানে। কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টা বিফলে যায় তাঁর।
ট্রেন আসার আগেই তাঁর সহকর্মী পুলিসেরা সেখানে পৌঁছে যায়। তাঁকে শান্ত করে সুস্থসবলভাবে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। ওই পুলিসের এহেন আত্মহত্য়া করার চেষ্টার ভিডিয়ো নেটপাড়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, আলিগড়ে বন্নদেবী থানায় কর্তব্যরত শচীন কুমার ৭টি বাইক উদ্ধার করে। এবং তার সঙ্গে ৫জন বাইক চোরকে আদালত হাজির করেছিলেন। তিনি বলেন, বিকাল ৫টায় বিচারপতি অভিষেক ত্রিপাঠি আদালতে আসে। তাঁকে ভুয়া সন্দেহভাজনদের আনার অভিযোগ তুলে রাত ১০টা পর্যন্ত আদালতে বসিয়ে রাখে। বিচারক বারবার তাকে বকাঝকা করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওই সাব-ইন্সপেক্টরের মতে, এহেন অপমান, অভিযোগ এবং হুমকি তিনি সহ্য করতে পারেননি। তাই জীবন শেষ করতে আদালত থেকে বেরিয়েই সোজা রেলওয়ে ট্র্যাক চলে যান। তাঁর এই আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ায় থানা এবং সংলগ্ন এলাকায় পুলিসকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে, এই ঘটনায় বিচারপতি অভিষেক ত্রিপাঠীর পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, দুদিন আগেই নিজের অদম্য জেদ আর ইচ্ছায় স্নাতক স্তরের ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি-কাম-এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET)-এ একেবারে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন ডা. নবদীপ সিংহ। বর্তমানে মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজের রেডিয়োলজি বিভাগে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। রবিবার সকালে হোস্টেলের ঘর উদ্ধার হল মেধাবী ছাত্র নবদীপের মৃতদেহ। দিল্লি পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, তাঁর বাবা তাঁকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি ফোন না তোলায় তাঁর বন্ধুকে তাঁর ঘরে যেতে বলেন। সেই সময় তাঁর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পুলিস এটাকে আত্মহত্যা বলে সন্দেহ করছে। কিন্তু কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি ঘর থেকে। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাঞ্জাবের মুক্তসার জেলায়।