Police, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে জেলার বাইরে, ক্ষোভ বাড়ছে পুলিশ অফিসারদের মধ্যে

রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের মধ্যেই এবার পুলিশ অফিসারদের মধ্যেও ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলার বাইরে কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন তাঁরা। দ্রুত তাদের নিজের জেলায় বদলি না করলে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে পুলিশ অফিসারদের মধ্যেও। তখন অস্বস্তিতে পড়তে পারে সরকার।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে সাব ইনস্পেক্টর বা তার উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসারদের লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের আদেশে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। ভোটে নিজের জেলায় ভোট প্রক্রিয়াকে তাঁরা যাতে প্রভাবিত করতে না পারেন সেই কারণেই পুলিশ অফিসারদের অন্য জেলায় পাঠানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের পরেই তাদের নিজের নিজের জেলায় ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার তিনমাস পরেও ওই সমস্ত পুলিশ অফিসাররা ভিন জেলায় পড়ে রয়েছেন। রাজ্যজুড়ে প্রায় এক হাজার পুলিশ অফিসার বিভিন্ন জেলায় বদলি হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না। কয়েকজন পুলিশ অফিসার তাদের পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যস্তরে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের বিষয় সরকার ভাবনাচিন্তা করছেন না বলে অভিযোগ। পুলিশ অফিসারদের দাবি, রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকলে তাঁরা নিজের জেলায় কাজের সুযোগ পান। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভিন জেলায় কর্মরত পুলিশ অফিসাররা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ অফিসার বলেন, “চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আমাকে বীরভূম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে বদলি করা হয়েছে। বাড়িতে বয়স্ক মা- বাবা রয়েছেন। তাদের ঠিকভাবে খোঁজ খবর রাখতে পারছি না। জেলা ছেড়ে বহুদূরে থাকার ফলে বিভিন্ন দিক থেকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। সরকার অবিলম্বে আমাদের নিজেদের জায়গায় ফিরিয়ে না দিলে মানসিকভাবে কাজে অনীহা চলে আসছে। আমার আবেদন, ভোটের আগে যাদের বদলি করা হয়েছিল তাদের জেলায় ফিরিয়ে আনা হোক। কারণ পুলিশদেরও তো পরিবার রয়েছে।”

যদিও জেলার এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানান, এতদিন তাদের ফিরে আসার কথা ছিল। এই রদবদল হয় রাজ্যস্তর থেকে। কিন্তু রাজ্যে একের পর এক আন্দোলনের জেরে বদলি প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত নিয়ম মেনেই বদলি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.