এ বছরই আরও এক ঘূর্ণিঝড় উঁকি দিচ্ছে আরব সাগরে। আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ফের একটা সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে পারে। আর তা হলে এই ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ নাম নিয়ে আছড়ে পড়বে ভারতী উপকূলে। সেক্ষেত্রে এটি হবে এ বছরের নবম ঘূর্ণিঝড়। বর্তমানে এই ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান লাক্ষদ্বীপের অদূরে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর।
২৪ ঘণ্টা আগেই নিম্নচাপ রেখাটি স্পষ্ট হয়েছে দক্ষিণ আরব সাগরে। আবহ দফতরে সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি ক্রমশই শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিতে চলেছে। অচিরেই তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে পারে। এই নিম্নচাপের জেরে ভারতের পশ্চিম উপকূলে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।
গুজরাট, মহারাষ্ট্র সংলগ্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টি চলছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরও গভীরতর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং আরও তীব্র হবে নিম্নচাপ। ভারতীয় উপকূল জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। কেরালায় পাশাপাশি পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে মুম্বই, পুনে, নাসিকের মতো শহরগুলিতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সাঙ্গালী, সাতারা, রত্নগিরি জুড়েও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আমরেলি, পোরবন্দর, জুনাগড় ও রাজকোটে বিচ্ছিন্ন ও হালকা বৃষ্টিপাত হবে। গুজরাটের দক্ষিণ ও মধ্য জেলাগুলিতে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। তবে এখনই ভারী বৃষ্টি বা ঝড়ের কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে রূপান্তরিত হয়ে পশ্চিম-উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। শীতল সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ফলে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে উপকূলে পৌঁছনোর আগে তা শক্তি হারাতে পারে। তবে এমন সম্ভবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না যে, এই নিম্নচাপ সাইক্লোনে রূপান্তরিত হবে না।
এই নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণাবর্ত থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে এটি ২০১৯-এর ডিসেম্বের মধ্যেই আছড়ে পড়বে ভারতের উপকূলে। তাহলে ভারতীয় উপকূলকে প্রভাবিত করা নবম ঘূর্ণিঝড় হবে এটি। এবং এর নাম হবে ‘আম্ফান’। এখন দেখার আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আম্ফানে পরিণত হতে পারে কি না!