দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেও কী কারণে দু’দিনের বিলম্ব? ব্যাখ্যা দিল আম আদমি পার্টি

অরবিন্দ কেজরীওয়াল ঘোষণা করেছেন, তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন। তবে দু’দিন পরে। রবিবার দুপুরে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধানের এই ঘোষণার পর থেকেই বিঁধতে শুরু করেছে বিজেপি। কেন দু’দিন পরে পদত্যাগ, কেন এখনই নয়? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতারা। এই আবহে দু’দিন পরে ইস্তফার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিল কেজরীওয়ালের দল। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফায় দু’দিন বিলম্বের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপ নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতিশি মারলেনাকে। তাঁর ব্যাখ্যা, রবিবার ছুটির দিন। সোমবারও ঈদে মিলাদের জন্য সরকারি ছুটি। পরবর্তী কর্মদিবস সেই মঙ্গলবার। সেই কারণেই দু’দিনের সময় নেওয়া হয়েছে।

দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কেজরীওয়াল। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ছয় মাস জেলে ছিলেন। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলমুক্তি ঘটেছে আপ প্রধানের। তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেলেও জামিনের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে শীর্ষ আদালত। আদালতের নির্দেশ, জেল থেকে বেরোনোর পর তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না। নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এ ছাড়া, প্রকাশ্যে এই সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহেই রবিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আপ প্রধান।

রবিবার দুপুরে দলীয় এক সম্মেলনে আপ প্রধান বলেন, “দু’দিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যত দিন না জনতা জনার্দনের রায় পাচ্ছি, তত দিন আমি এই আসনে আর ফিরব না।” কেজরীওয়ালের এই ঘোষণার পরই বিজেপি শিবির থেকে বিভিন্ন কটাক্ষ ভেসে আসতে থাকে। ইস্তফা দিতে তিনি দু’দিন সময় নিচ্ছেন, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। আপ প্রধানের সিদ্ধান্তকে একটি ‘রাজনৈতিক নাটক’ হিসাবেই ব্যাখ্যা করছে পদ্মশিবির। বিজেপি নেতা হরিশ খুরানার বক্তব্য, “তিনি দফতরে যেতে পারবেন না, নথিতে সই করতে পারবেন না। দিল্লির মানুষ জানতে চাইছে, তা হলে তিনি পদে থেকে করবেন কী?” এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে কেজরীর দু’দিন বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করল তাঁর দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.