উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গেল দারচুলা-তাওয়াঘাট জাতীয় সড়ক। চৈতালকোটের কাছে জাতীয় সড়কের উপর রবিবার সকালে ধস নামে। পাহাড়ের বিশাল অংশ ভেঙে জাতীয় সড়কের উপর নেমে আসে। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। ধস নামার পরই জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের কুমায়ুন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও দু’জন। ভারী বৃষ্টির জেরে কুমায়ুন অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। যার জেরে জাতীয় সড়ক-সহ ৪৭৮টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হলদওয়ানিতে বৃষ্টি হয়েছে ৩৩৭ মিলিমিটার, নৈনিতালে ২৪৮ মিমি, চম্পাবতে ১৮০, রুদ্রপুরে ১২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ দু’জন। শুক্রবারে বাড়ি ভেঙে পিথোরাগড়ের গানকোটে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। আবার ধসে চাপা পড়ে বিপিন কুমার নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে ওই দিনই। এ ছাড়াও দারচুলায় পঞ্জাবের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। লোহাঘাটে ধসের জেরে মৃত্যু হয় এক মহিলার। উধম সিংহ নগরে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে ধসে চাপা পড়ে। ধসের জেরে বন্ধ রুদ্রপ্রয়াগ-কেদারনাথ জাতীয় সড়ক। এ ছাড়া উত্তরকাশীতে হৃষীকেশ-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের একাংশ।