মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে সরাসরি সম্প্রচারের প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি নবান্ন। আর তাতেই ভেস্তে গিয়েছে বৈঠক। এই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় হতাশ হয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরাও। সরাসরি সম্প্রচারের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা দেগেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কিসের ভয় মুখ্যমন্ত্রীর? ডাক্তারবাবুদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন না মুখ্যমন্ত্রী বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, সমাধান হওয়া না হওয়া নির্ভর করছে আলোচনার ওপরে। আর আলোচনাটা জনগণের সম্মুখে হলে মুখ্যমন্ত্রীর ভয় কোথায়? উনি কী লুকোতে চাইছেন? তিনি অভিযোগ করেছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে যে প্রশ্নগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করতেন তার জবাব তিনি দিতে পারতেন না। ডাক্তারবাবুরা ক্রাইম সিনের ক্রোনোলজি জিজ্ঞেস করতেন। তার কোনো উত্তর মুখ্যমন্ত্রী কাছে ছিল না। মাননীয় ডাক্তারবাবুরা জিজ্ঞাসা করতেন, আপনার সিপি কেন বলেছিলেন যে বাইরে থেকে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না? যেখানে ১৫টি দগদগে ক্ষত নির্যাতিতার শরীরে ছিল। কেন হাজার জন লোক ঘটনাস্থলে ছিলেন, যাদের ফুটপ্রিন্ট পাওয়া গেছে সেখানে। এসবের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নেই।
ভেস্তে যাওয়া বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা বিচার চান না। তারা চেয়ার চান। তাই প্রয়োজনে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ওনাকে কে আটকেছে পদত্যাগ করা থেকে? ওনাকে তো কেউ দু’হাত দিয়ে আটকে রাখেননি। ওনাকে আমি যতটুকু চিনেছি দেহত্যাগ না করলে উনি পদত্যাগ করবেন না। আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ আগেই দাবি করা হয়েছে। বিধানসভায় অধিবেশনে এই নিয়ে স্লোগান তুলেও সরব হয়েছেন পদ্ম বিধায়করা।