কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। ‘আন্দোলনের ‘বলি’ যখন ২৯ প্রাণ, তখন ডায়ালিসিসকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! মানুষের হাসপাতালে তৃণমূল নেতার কুকুরের চিকিত্সা? বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘গত ২ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুর ২টা ৩০মিঃ থেকে দুপুর ৩টা নাগাদ সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নবকুমার বেতাল ও ওনার স্ত্রী, যিনি দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলা পরিষদের বিদ্যুত কর্মাধ্যক্ষা; শ্রীমতি সোমাশ্রী বেতাল তাঁদের এক পোষ্যকে সাধারণ মানুষের ব্যবহারকারী অ্যাম্বুল্যান্সে করে আমতলা রুলাল হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। হসপিটালের সুপার-সহ সমস্ত চিকিৎসক এবং নার্সরা বাইরে বেরিয়ে এসে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই কুকুরটির চিকিৎসা করেন সমস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা তদারকি করেন চন্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীমতি শুভ্রা ঘোষ’।
তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর পাল্টা কটাক্ষ, ‘শুভেন্দু অধিকারীর এখন মরিয়া চেষ্টা ডাক্তারদের মান ভঞ্জন করার। যাতে আন্দোলন ঢুকে ফুটেজ খেতে পারে। এই ধরণের অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট করে মার্কেটে ভেসে থেকে, জুনিয়র ডাক্তারদের সহানুভূতির কুড়নোর জন্য এই ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে’।
এদিকে চুপ করে বসে নেই প্রশাসনও। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে রিপোর্ট দিয়েছেন সিএমওএইচ। রিপোর্টে উল্লেখ, ৯ সেপ্টেম্বর রাতে একটি বেসরকারি অ্যাম্বলান্স আসে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। দ্রুত সেই অ্যাম্বুল্যান্সের কাছে পৌঁছন হাসপাতালে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার। দেখেন, অ্য়াম্বুল্যান্সে রয়েছে, মৃত কুকুর! অ্যম্বুলান্সের কর্মীরা জানান, পশু হাসপাতাল বদলে ভুল করে কুকুরটি আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে চলে এসেছেন। এরপর সেই অ্যাম্বুলান্স হাসপাতাল থেকে চলে যায়।
এর আগে, এসএসকেএমে কুকুরে ডায়ালিসিসকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য় রাজনীতি। অভিযোগ ওঠেছিল, ২০১৫ সালে এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে কুকুরের ডায়ালিসিসের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান রাজেন পান্ডে। কুকুরটি ছিল তৃণমূলের চিকিত্সক সংগঠনের নেতা নির্মল মাজির আত্মীয়ের। তখন রাজেন পান্ডে সাফাই দিয়েছিলেন, মানুষ ও কুকুর স্তন্যপায়ী প্রাণী। একই মেশিনে ডায়ালিসিস হতে পারে। এতে কী এমন হয়েছে?