প্রাচীন ষাঁড়েশ্বর মন্দির সংস্কারের দাবি জানিয়ে এবার লোকসভায় সরব হলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোমবার লোকসভা টিভিতে তাঁর এই দাবির সরাসরি সম্প্রচার দেখে খুশি সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ।
প্রসঙ্গত বিষ্ণুপুর শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে ডিহর গ্রামে দ্বারকেশ্বর নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত অতি প্রাচীন ষাঁড়েশ্বর মন্দির। যার নির্মাণ সময় নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। অনেকে মনে করেন, দ্বারকেশ্বর নদ দিয়ে এক সময় জৈন ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ীরা যাতায়াত কালে দশম-একাদশ শতকে ল্যাটেরাইটের পাথর দিয়ে এই মন্দির তৈরি করেন।
ঠিক যেমনটি দেখা যায় এই নদীর তীরে এক্তেশ্বর, বহুলাড়া, ধারাপাট-সহ দক্ষিণ বাঁকুড়ার তালডাংরার শিলাবতী নদী তীরে হাড়মাসড়া গ্রামে। আবার এই মন্দির নিয়ে অন্যমতটি হলো, বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পৃথ্বী মল্ল ১৩৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ডিহর গ্রামে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তবে নির্মাণ সময় নিয়ে হাজারো বিতর্কের মাঝে সকলেই চাইছেন, প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষায় দ্রুততার সঙ্গে এই মন্দির সংস্কার করা হোক। কারণ এই মন্দির গাত্রে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ফাটল দেখা দিয়েছে। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে চলেছে। দ্রুত সংস্কার না হলে অবজ্ঞা আর অনাদরে একদিন হয়তো দ্বারকেশ্বরে বুকে হারিয়ে যাবে এই মন্দির।
সাংসদ সৌমিত্র লোকসভার চলতি অধিবেশনে সোমবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে প্রাচীন মন্দির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। লোকসভা টিভিতে এই বক্তব্যের সরাসরি সম্প্রচার দেখে আশার আলো দেখছেন ডিহর-সহ বিষ্ণুপুর এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা সুনন্দ রায়, জয়া ঘোষরা ষাঁড়েশ্বর মন্দির সংস্কারের বিষয়টি লোকসভায় তোলার জন্য সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই মন্দিরকে ঘিরে বিষ্ণুপুর এলাকার মানুষের ভাবাবেগ জড়িত। সাংসদের তৎপরতায় এবার ঐতিহ্যবাহী এই মন্দির দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে তারা আশা করছেন বলে জানিয়েছেন।