দলের খারাপ পারফরম্যান্সের খেসারত কি দিতে হবে দুই অধিনায়ককে? বাবর আজ়ম ও শান মাসুদের কি নেতৃত্ব যাবে? এই জল্পনার মাঝেই বোর্ডের কাছে আর্জি জানালেন দলের দুই কোচ। সাদা বলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন ও লাল বলের কোচ জেসন গিলেসপি আর্জি জানিয়েছেন, দ্রুত অধিনায়ক বদলের সিদ্ধান্ত যাতে না নেওয়া হয়।
কার্স্টেন ও গিলেসপি জানিয়েছেন, বাবর ও মাসুদের উপর বোর্ডকে ভরসা করতে হবে। তবেই ভাল ফল হবে। তাড়াহুড়ো করতে গেলে দলের পক্ষেই খারাপ হবে। গত দু’বছরে বার বার পাকিস্তানের অধিনায়ক বদলেছে। ২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্সের পরে বাবরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক করা হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। লাল বলের অধিনায়ক করা হয় মাসুদকে। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আবার শাহিনকে সরিয়ে বাবরকে অধিনায়ক করা হয়। তার পরেও বিশ্বকাপে ভাল খেলতে পারেনি পাকিস্তান। সেই কারণেই, ঘন ঘন অধিনায়ক বদল না করার আর্জি জানিয়েছেন দুই কোচ।
এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুই কোচের উপরেই সিদ্ধান্ত ছেড়েছে মহসিন নকভির নেতৃত্বাধীন বোর্ড। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “অধিনায়ক বদল হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত দুই কোচের উপর ছেড়েছেন নকভি। নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে কোচেরাই সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। কার্স্টেন ও গিলেসপি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে দুই অধিনায়ককে তাঁরা সময় দিতে চান।”
শীঘ্রই একটি ওয়ার্কশপ করার কথা ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দেশের ক্রিকেটের মানের উন্নতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, “ঘরোয়া ক্রিকেটার, কোচ, নির্বাচক ও চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ওয়ার্কশপ হবে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানের দুই কোচও থাকবেন। তাঁরা স্পষ্ট করে দেবেন যে জাতীয় দলের জন্য কোন ধরনের ক্রিকেটার চাইছেন। তা হলে ঘরোয়া কোচ ও ক্রিকেটারদের কাছেও বিষয়টা সহজ হবে। তাঁরা সে ভাবে তৈরি হতে পারবেন।”
বাংলাদেশের কাছে ঘরের মাঠে ০-২ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ় হেরেছে পাকিস্তান। এ বার ঘরের মাঠেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। ৭ অক্টোবর থেকে সেই সিরিজ় শুরু। তার আগে দলের ফাঁক ভরাট করার চেষ্টা করছেন পাকিস্তানের দুই বিদেশি কোচ।