ভাইপোর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। গ্রামের পঞ্চায়েতে তা নিয়ে সালিশি সভা বসে। সেখান থেকে দু’জনের বিরুদ্ধেই শাস্তির নিদান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই নির্দেশের পরেই শুরু হয় মহিলাকে মারধর। তাঁর স্বামী জোর করে তাঁর মাথাও কামিয়ে দেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন মহিলা। এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কনৌজের। লখনউ থেকে ১২২ কিলোমিটার দূরে কনৌজের একটি গ্রামে মহিলাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে দেখা গিয়েছে, মহিলাকে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করছেন তাঁর স্বামী। তা দেখার জন্য জড়ো হয়েছেন গ্রামবাসীরা। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। জোর করে মহিলার মাথাও কামিয়ে দেওয়া হয়েছে সকলের সামনে। সালিশি সভায় এমনই নিদান দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করতে বলা হয়েছিল।
পরে এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। মহিলা জানিয়েছেন, ভাইপোর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সালিশি সভায় তাঁদের দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দু’জনকেই মারধর করতে বলা হয়। মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর চুল কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মহিলা জানিয়েছেন, সালিশি সভায় তাঁর স্বামীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, প্রকাশ্যে তাঁকে মারধর করতে। এর পরেই স্বামী-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাটি আরও বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। কনৌজের এসপি অমিত কুমার আনন্দ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। যিনি মারছেন, তিনি মহিলার স্বামী। ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’