SC On RG Kar Case: আরজি কর মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার…

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আরজি কর মামলার দ্বিতীয় শুনানি হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু প্রধান বিচারপতির অসুস্থতার কারণেই পিছিয়ে যায় সেই শুনানি। বৃহস্পতিবারের শুনানির তাকিয়েই বুধবার দ্বিতীয় দফার রাত দখল কর্মসূচি নেন বাংলার প্রতিবাদী জনসমাজ। শুনানি পিছিয়ে গেলেও পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। স্লোগান ওঠে, ‘শুনানি যত পিছবে, মিছিল তত বাড়বে’। এরপরেই বৃহস্পতিবার রাতে জানা যায় যে আগামী সোমবার হতে চলেছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

আর জি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম দিনের শুনানিতেই এই মামলায় পুলিসি ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্টের বিচচারপতি। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর কেন এফআইআর, প্রশ্ন তোলে আদালত। যেভাবে গোটা মামলায় পুলিস এগিয়েছে, তিরিশ বছরের কর্মজীবনে তা দেখেননি, মন্তব্য করেন বিচারপতি পার্দিওয়ালার। এএসপির ভূমিকা সন্দেহজনক। পর্যবেক্ষণ সুপ্রিমকোর্টের। ক্রাইম সিন নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি সলিসিটার জেনারেলের। সূত্রের খবর, একই দাবি সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টেও। 

আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলে বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মিশ্রার ডিভিশন বেঞ্চ। বিশেষ করে অভিযোগ দায়ের ও পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। আদালতের শুনানিতে উঠে আসে, ক্রাইম সিন নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে। শুনানিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সলিসিটর জেনারেলের। একই বিষয়ের উল্লেখ সিবিআই রিপোর্টেও। তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা। 

একজন ডাক্তার জানবে না কোনটা মৃতদেহ? প্রশ্ন সলিসিটর জেনারেলের। বিস্ময় প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর এফআইআর হল কেন ? প্রধান বিচারপতি। অধ্যক্ষ পদত্যাগের পরই অন্য হাসপাতালে নিয়োগ কেন? ময়নাতদন্তের পর কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। সকাল ১০টা ১০-এ জিডি করা হয়। সন্ধে ৭টা ১০-এ ময়নাতদন্ত শেষ হয়। রাত সাড়ে ১১টায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের। রাত ১১টা ৪৫-এ  এফআইআর করা হয় বললেন সলিসেটর জেনারেল। থানায় ফেরার পর এফআইআর করেন পুলিস আধিকারিক। আদালতে পাল্টা জানায় রাজ্য। এরপরেই পরবর্তীর শুনানির দিন ঘোষণা করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর। তবে তার আগেই জানা যায় যে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের অসুস্থতার কারণে পিছিয়ে গেল শুনানি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানা যায় যে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৩০ মিনিটে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.