RG Kar Incident| Lalbazar: আরজি কর কাণ্ডে এবার চাদর-বিভ্রাট! কী বলছে কলকাতা পুলিস?

 আরজি কর কাণ্ডে এবার চাদর-বিভ্রাট! ‘দেহ যে চাদরটা দিয়ে ঢাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা কিন্তু নীল ছিল’, দাবি পুলিসের। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘যেকোনও  কেসের ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি আর ভিডিয়োগ্রাফি একটা বড় পর্ব। এটা কিন্তু ধাপে ধাপে হয়েছে। যথন ইনকোয়েস্ট হয়েছে, তখন হয়েছে। যখন ফরেন্সিক টিম এসেছে, তখন হয়েছে। তারপর যখন সিজার হয়েছে, তখনও কিন্তু ভিডিয়োগ্রাফি, ফটোগ্রাফি হয়েছে। এই তিনটিতেই কিন্তু চাদরে রং নীল ছিল’।

ঘটনাটি ঠিক কী? ২১ দিন পার। আরজি কাণ্ডে কিনারা হল না এখনও। বরং যত দিন যাচ্ছে, রহস্য যেন ঘনীভূত হচ্ছে আরও! তথ্য-প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছেন নির্যাতিতা বাবা-মা। এবার তাঁদের অভিযোগ, মৃত্যু আগে বা পরে মেয়ে শরীরে যে চাদর ছিল, তা পরে বদলে দেওয়া হয়! বাবার দাবি, হাসপাতালে যাওয়ার পর যখন মেয়ের দেহ দেখেছিলেন, তখন গায়ে সবুজ চাদর ছিল।  পরে সংবাদমাধ্যমে যে ছবি দেখানো হয়েছে, সেই ছবিতে চাদরে রং ছিল নীল।

এর আগে, হাসপাতাল থেকে তিনবার ফোন করে তিন রকম কথা বলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতা বাবা-মা। সেদিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের সঙ্গে ঠিক কী কথোপকথন হয়েছিল? অডিয়ো ক্লিপ এখন ভাইরাল। শোনা যাচ্ছে, প্রথম ফোনে অসুস্থতার কথা জানানো হয়।  দ্বিতীয় ফোনে বলা হয় গুরুতর অসুস্থ। তৃতীয় ফোনে বাবাকে বলা হয় আত্মহত্যা করেছেন। কেন বারবার বয়ান বদল? প্রশ্ন নির্যাতিতার পরিবারের? প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকেরা।

ডিসি(সেন্ট্রাল) ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বলেন,  ‘একটা অডিও ক্লিপও কিন্ত ভাইরাল হয়েছে। যেখানে কিছু কথোপকথন আছে। আমরা আগে যা বলেছি, এই অডিও ক্লিপগুলি সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে। পুলিস কল করে কখনই বলেনি, এটা সুইসাইড’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.