আইএসএলের সূচি সরকারি ভাবে ঘোষণার এক দিন পরেই সমস্যায় মহমেডান ক্লাব। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিলেন অন্যতম বিনিয়োগকারী সংস্থা বাঙ্কারহিলের কর্তা দীপক কুমার সিংহ। তবে মহমেডান আত্মবিশ্বাসী। ক্লাবের এক কর্তা জানিয়েছেন, মৌখিক আলোচনায় দ্রুত সমস্যা মিটবে।
গত বার আই লিগ জেতার সুবাদে এ বার আইএসএলে খেলবে মহমেডান। ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের প্রথম ম্যাচ। তার আগে সোমবার এক ভিডিয়ো বার্তায় বাঙ্কারহিলের কর্তা দীপক জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে মহমেডানের সঙ্গে তাদের চূড়ান্ত চুক্তি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “বাঙ্কারহিলের তরফ থেকে বলতে চাই, আইএসএলে বিনিয়োগ করার জন্য আমরা শ্রাচী স্পোর্টসের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। সেই মতো একটি টার্ম শিটও তৈরি হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত চুক্তির সময়ে ক্লাব এমন কিছু পরিবর্তন করতে চেয়েছে যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
কেমন পরিবর্তন? দীপকের দাবি, “প্রথমে ঠিক হয়েছিল বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সে তিন পক্ষের (মহমেডান, বাঙ্কারহিল, শ্রাচী) তরফেই দু’জন করে থাকবেন। এখন মহমেডান চাইছে, সেখানে ক্লাবের পাঁচ কর্তাকে রাখতে হবে। বাঙ্কারহিল এবং শ্রাচীর থেকে দু’জন করে। দ্বিতীয়ত, ক্লাব চাইছে বোর্ডের চেয়ারম্যান ক্লাবেরই কেউ হোন যিনি ফুটবল নিয়ে সমস্ত কাজ সামলাবেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমার মনে হয় না কোনও বিনিয়োগকারীকে ক্লাবে নিয়ে আসতে পারব।”
তাঁর আরও দাবি, যতটুকু শেয়ার তাঁর রয়েছে তা এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত আমার ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ক্লাব। তা এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। ক্লাবের কিছু কর্তার নামেই তা রয়েছে। গত চার বছর ধরে আমরা অনেক বিনিয়োগ করেছি বলেই ক্লাব আজ এই জায়গায়। শেষ পর্যায়ে এসে ভুলভাল কিছু প্রত্যাশার জন্য এই চুক্তি করা সম্ভব নয়। মনে হয় আগামী দিনে মহমেডানের জন্য কঠিন সময় আসতে চলেছে।”
যদিও ক্লাবের সচিব ইস্তিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, কোনও সমস্যা হয়নি। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, “আমরা আগেই ঠিক করেছি শ্রাচী স্পোর্টসের রাহুল টোডি চেয়ারম্যান হবে। জনসমক্ষে এ কথা বলার কোনও দরকার ছিল না। উনি লিখিত ভাবে আমাদের সব জানাতে পারতেন। আশা করি মৌখিক আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা স্বীকার করছি যে আইএসএলে মহমেডানকে খেলানোর জন্য উনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। ওঁকে অনুরোধ, মৌখিক কথাবার্তা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিন।”
ইস্তিয়াকের আশ্বাস, শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে।