মাদ্রাসায় ডে-অফের জন্য ৫ বছরের শিশুকে পিটিয়ে মেরে ফেলল তার সহপাঠীরাই!

গোটা দেশ জুড়ে এ কী চলছে! একাধিক রাজ্য থেকে আসছে পরপর সব হাড়হিম করা খবর আসছে। এবার ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেল দিল্লির উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত দয়ালপুরের ব্রিজিপুরী গ্রামের মাদ্রাসায়। এক ৫ বছরের শিশুকে পিটিয়ে মেরে ফেলল তার সহপাঠীরাই! যারা এই নিস্পাপ ছেলেটির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তাদের সকলেরই বয়স ৯-১১ বছরের মধ্য়ে! কিছুদিন আগে নয়ডার একটি স্কুলেও এমনই ঘটনা ঘটেছিল!

এই খুনের কারণও চমকে দেওয়ার মতো। জানা যাচ্ছে যে, মাদ্রাসায় ডে-অফের জন্য নাকি ঝামেলার সূত্রপাত। তারপর নৃশংস ভাবে ওই শিশুকে পিটিয়ে মারে তার সহপাঠীরা। গত ২৩ অগাস্ট রাত ১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। যারা খুন করেছে, তাদের সকলকেই পুলিস ধরেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ‘রহস্যজনক পরিস্থিতিতে’ তার মৃত্যু ঘটেছে। ছেলেটির ঘাড়, পেট এবং কুঁচকিতে ফোস্কাও পড়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে যে লিভার ফেটে যাওয়া এবং পেটে এবং ডান ফুসফুসে রক্তপাত সহ আরও গুরুতর অভ্যন্তরীণ ক্ষতচিহ্ণও রয়েছে।

পুলিস, মাদ্রাসার ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই ছাত্রকে হত্যার সঙ্গে তিন ছাত্রের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। পুলিশ সকলকে আটক করে হত্যার বিষয়ে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অদ্ভুত ভাবে তারা সবাই পরস্পর বিরোধী উত্তর দিয়েছে! একজন বলেছে যে, ছেলেটি তাদের অপমান করেছে বলে মারামারি হয়েছে। অন্য যে গল্পটি বেরিয়ে এসেছে, তা হল তারা মাদ্রাসা থেকে একদিন ছুটি চেয়েছিল, তাই তারা ছেলেটিকে হত্যা করেছে!

ছেলের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে, তার মা দ্রুত ব্রিজপুরীর এক প্রাইভেট হাসপাতালে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে যে, তাঁর সন্তান আর নেই। নিহতের মা পশ্চিম দিল্লির পাঞ্জাবি বাগ এলাকায় লোকের বাড়িতে কাজ করেন। ছেলেটির বাবা উত্তরপ্রদেশে থাকেন। মাসে একবার বাড়িতে আসেন। মা তাঁর মৃত সন্তানকে নিয়ে মাদ্রাসার সামনে গিয়ে বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জানান। এরপর বিরাট সংখ্য়ক মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে যায়। পুলিস এসে দেহ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছিল তারপর। মোট ২৫০ জন পড়ুয়া রয়েছে ওই মাদ্রাসায়। সকলকেই আপাতত বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। এমনও জানা যাচ্ছে যে, কোনও টেলিভিশন শো দেখে তারা প্রভাবিত হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.