নাতিকে স্কুলে দিতে যাওয়ার পথে খাবারের দোকানের কর্মীদের সঙ্গে বচসা হচ্ছিল ঠাকুমার। অভিযোগ, সে সময় এক কর্মী ১০ বছরের কিশোরকে ধাক্কা দেন। তার জেরে গরম তেলের কড়াইয়ে পড়ে যায় সে। একবালপুরের ঘটনা। একটি নার্সিং হোমে কিশোরের চিকিৎসা চলছে। খাবারের দোকানের মালিক এবং তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে নাতিকে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলেন কুলসুম বেওয়া। নাতি একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। কুলসুম থানায় অভিযোগ করে জানিয়েছেন, একবালপুর লেন দিয়ে যাচ্ছিলেন দু’জন। তখন খাবারের দোকানের সামনে রাস্তার উপর দু’টি রান্নার উনুন রাখা ছিল। একটি বেঞ্চও রাখা ছিল। সে কারণে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের জায়গা ছিল না। তিনি সেই কথা বলার পর বচসা শুরু হয়। কুলসুমের অভিযোগ, তাজমুল নামে এক কর্মী সে সময় কিশোরকে ধাক্কা দেন। তাতেই সে পাশে রাখা গরম তেলের কড়াইয়ে পড়ে যায়। তার গা পুড়ে যায়।
কুলসুমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। খাবারের দোকানের মালিক মেহতাব হোসেন এবং তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। মেহতাব বিহারের মধুবনির বাসিন্দা। অভিযুক্ত তাজমুল ছাড়া বাকি দুই কর্মী বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেনসিক দফতর।