আরজি করে বৃহস্পতিবার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা, দায়িত্বে কত কোম্পানি?

বৃহস্পতিবার থেকেই আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। সেই পরিকল্পনাই রয়েছে বলে খবর। বুধবার রাতে আবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিআইএসএফ-এর কর্তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। কোথায়, কী ভাবে, কত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে, বুধবার রাতে তার ছক কষে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আরজি করে আপাতত দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আরজি করের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরেই বুধবার সকালে আরজি করে যান সিআইএসএফ-এর কর্তারা। নেতৃত্বে ছিলেন বাহিনীর ডিআইজি কে প্রতাপ সিংহ। এর পর আরজি কর থেকে লালবাজারেও যান তাঁরা। রাতে আবার হাসপাতালে আসেন।

সাধারণত এক কোম্পানি বাহিনীতে ৮০ থেকে ১২০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকেন। তাঁদের মধ্যে সক্রিয় থাকেন ৭০ জন। বাকিরা অন্যান্য কাজে নিযুক্ত থাকেন। এ ক্ষেত্রে, দুই কোম্পানি বাহিনী হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত বলে মনে করেছেন কর্তারা। আরজি করে থাকবেন এক সুপারিন্টেন্ডেন্ট-সহ প্রায় ১৫০ জওয়ান।

আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগস্ট এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকে আরজি কর উত্তাল। সুবিচার চেয়ে এবং হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন চিকিৎসকেরা। এখনও তাঁদের কর্মবিরতি চলছে। আরজি করের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। ক্রমে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে অন্যান্য হাসপাতালগুলিতেও। এই পরিস্থিতিতে গত ১৪ অগস্ট আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা জুড়ে মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচি চলাকালীন রাতে আরজি করে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হয় জরুরি বিভাগে। সেই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতা দেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে ভর্ৎসনাও করা হয়েছে। তার পরেই হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, হামলার পর হাসপাতালে ঘটনাস্থল সুরক্ষিত রয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। সেখানে হামলাকারীরা পৌঁছতে পারেনি বলে জানায় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.