তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে খুনের পর ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। আর এই ক্ষোভের আঁচ এসে পড়ে হায়দরাবাদ শহরেও। শনিবার প্রায় শ’দেড়েক বিক্ষোভকারী শাদনগর থানা ঘিরে ফেলেন। এই শাদনগরের কাছেই ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে এক কালভার্টের নীচে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বৃহস্পতিবার ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে সাইবারবাদ থানার পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই তিনি জানান, তরুণীকে প্রথমে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করার পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতার দেহ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে সাইবারবাদ পুলিশ।
এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। মৃতার বাবা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। শনিবার ক্ষোভের স্রোত আছড়ে পড়ে শাদনগর থানায়। গোটা থানা ঘিরে ধরে প্রবল বিক্ষোভ চলতে থাকে। পুলিশকর্মীদের দিকে তাক করে উড়ে আসে পাথর,চপ্পল। এর মাঝেই ভিড় থেকে দাবি ওঠে অভিযুক্তদের তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। পুলিশ কিছু করতে না পারলে আমাদের হাতে তুলে দিক। আমরা বুঝে নেব।’এই প্রসঙ্গে সমাজকর্মী সন্ধ্যা রানী বলেন, ‘এই ঘটনায় সারা দেশের মানুষ স্তম্ভিত।’
শনিবার এই চার অভিযুক্তকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপর কড়া নিরাপত্তায় ওই অভিযুক্ত চার জনকে চঞ্চলগুড়া সেন্ট্রাল জেলে আনা হয়।
শনিবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গৃহমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কে রেড্ডি জানান, এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে আইন আরও কঠোর করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এই ধরনের মামলার নিষ্পত্তি যাতে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টে হয় সেই বিষয়েও ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্র। শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে এএনআই সূত্রে খবর সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ইতিমধ্যে শামসাবাদ পুলিশ স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর এবং হেড কনস্টেবলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।