তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। আরজি কর কাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে চলেছে কলকাতা পুলিস! কবে? আগামীকাল, বুধবার।
কী থাকছে সেই রিপোর্টে? সূত্রের খবর, ৯ অগাস্ট সকালে টালা থানার পুলিসকে আরজি কর হাসপাতালের আউটপোস্ট থেকে জানানো হয়, চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের সেমিনার হলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক মহিলা ডাক্তার।
আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিসের রিপোর্ট
—
মোট ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম
অভিযুক্ত সঞ্জয় অপরাধ সংঘটিত করার আগে সেদিন রাতে আরেকজন কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার এর সঙ্গে দেখা করে
সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার মাঝ রাতেই র্যাপিড ও বাইক ধরে বিধান নগরে ব্যারাকের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়
বাইক চালকের বয়ান ও সংগ্রহ করা হয়েছে
৯ অগস্ট মধ্যরাতে শম্ভুনাথ পন্ডিত এবং হরিশ মুখার্জী স্ট্রিট ক্রসিংয়ের সিসিটিভি ক্যামেরায় অভিযুক্তকে বাইকে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
শ্য়ামবাজারে এসবিআই এটিএমের ফুটেজ সংগ্রহ করে রাখার জন্য ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল
এদিকে শহরে যেদিন ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালিত হয়, সেই ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি করে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। কোথাও বেড, কোথাও আইসিইউ, কোথাও ফ্রিজ তো কোথাও এমআরআই মেশিন ভেঙে গুঁড়িয়ে হয়। হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে কলকাতা পুলিসের তরফে জানানো হবে, ‘আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা ৩৭। আরও ১০০ জনকে হাজিরা দেওয়ার জন্য় নোটিস পাঠানো হয়েছে। রাত দখলের কর্মসূচিতে প্রায় দু লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমেছিল’।
কেন হাইকোর্টে এই রিপোর্ট? আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত শেষ করার জন্য পুলিসকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যের কাছে রিপোর্টও তলব করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।