মাঙ্কি পক্স ঠেকাতে জারি সতর্কতা! বিমানবন্দরের পাশাপাশি পাক, বাংলাদেশ স্থলবন্দরেও নজরদারি

দুই প্রতিবেশী দেশে মাঙ্কি পক্স (এম পক্স) সংক্রমণের খবর মিলতেই সতর্ক হল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত বিমানবন্দর এবং কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করল। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তের স্থলবন্দরগুলিতে আগত যাত্রীদের এমপক্সের লক্ষণগুলি আছে কি না, সে বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পিটিআই প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক এমপক্স রোগীদের বিচ্ছিন্ন করা (আইসোলেশন) এবং চিকিত্সার জন্য দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল, সফদারজং হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালকে ‘নোডাল কেন্দ্র’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। প্রসঙ্গত, আফ্রিকায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরেই মাঙ্কি পক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে গত সপ্তাহে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গত বুধবার সংস্থার তরফে ওই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হু।

হু-র পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে শুধু আফ্রিকাতেই ১৪ হাজারেও বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫২৪ জনের। আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মেলে। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেন ফরেস্ট)। চিকেন পক্সের মতো পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে এই রোগে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। যৌন সংসর্গ ছাড়াও শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.