রবিবার দুপুরে আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে এবং কলকাতা ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানের সমর্থকেরাও। সেই প্রতিবাদকে সমর্থন জানাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এ দিনই ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে শিলংয়ে উড়ে গেল লাল-হলুদ। সঙ্গে গেলেন নতুন ফুটবলার আনোয়ার আলিও। ময়দানে দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে পালিত হল রাখিবন্ধন উৎসবও।
সোমবার ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “মরসুমের প্রথম ডার্বি বলে সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। একে অপরকে দেখে নেওয়ার, পরস্পরকে তিন-চার গোল করার হুঁশিয়ারিও শোনা যাচ্ছিল। একটা আবেগ ছিল। তাই এই ডার্বি বাতিল সমর্থকেরা ভাল ভাবে নেননি। খেলা বাতিল না হলেই ভাল হতো। এ ছাড়া, সামাজিক বিষয়ে সমর্থকদের প্রতিবাদ ন্যায়সঙ্গত। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ সারা দেশ করছে। আশা করি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। দ্রুত ডার্বি ফিরবে কলকাতায়।”
শুক্রবার দুপুরেই শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা হয় ইস্টবেঙ্গল। তার আগে সকালে নিউটাউনের মাঠে অনুশীলন করে তারা। মহম্মদ রাকিপ ছাড়া সকলেই ছিলেন। রবিবার বিশ্রাম পাওয়ায় এ দিন ফুটবলারেরা ছিলেন চনমনে। ফিট ক্লেটন সিলভাও। শিলংয়ে আনোয়ার আলিকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ডুরান্ডে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় খেলার সম্ভাবনা নেই। অনুশীলনের পর ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন সমর্থকেরা।
রাখিবন্ধন উৎসব পালিত হয়েছে মোহনবাগান মাঠেও। অনুশীলনের সময় কোচ হোসে মোলিনা, সহকারী বাস্তব রায় এবং ফুটবলারদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন সমর্থকেরা। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকেরাও একে অপরের হাতে রাখি পরিয়েছেন। ইডেন গার্ডেন্সের সামনে এ দিনও কিছু সংখ্যক সমর্থক আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।