আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনার রাতে চেতলার এক যৌনপল্লিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আরজি কর হাসপাতালে ফেরার পথে এক মহিলাকে তিনি উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের একটি সূত্রে সোমবার এ কথা জানা গিয়েছে।
গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চারতলায় সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সে রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সে সময়ই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, অতীতেও মহিলাদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করার ‘রেকর্ড’ রয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের। এমনকি, এক মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলেছিলেন তিনি।
সিবিআইয়ের ওই সূত্র জানাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮ অগস্ট রাতে একাধিক বার ধৃত ব্যক্তি হাসপাতালে ঢুকেছিলেন এবং বেরিয়েছিলেন। তার মধ্যে রাত ৮টা নাগাদ বেরিয়ে তিনি গিয়েছিলেন চেতলার ওই যৌনপল্লিতে। প্রসঙ্গত, আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সে দিন রাতেই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তরিত হয়। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের একটি বিশেষ দল। মামলার নথিপত্রের পাশাপাশি ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও হেফাজতে নেয় তারা।
ইতিমধ্যেই দফায় দফায় ধৃতকে জেরা করা হয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতেও সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সোমবারই ওই পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সাইকোমেট্রিক পরীক্ষাও হয়েছে ধৃতের। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে তাঁর লাই-ডিটেক্টর পরীক্ষার অনুমোদন চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।