হুলা পার্টির জ্বলন্ত শলাকার কোপে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পদত্যাগের দাবিতে ঝাড়গ্রামে হলো প্রতিবাদ মিছিল। রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম শহরে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল হয়। কুড়মি সমাজের মানুষজন ছাড়াও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষজন প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন। নতুন বাস স্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু করে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথার মোড় হয়ে শহর পরিক্রমা করার পর পুনরায় নতুন বাস স্ট্যান্ডে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয়। মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির পাশাপাশি বন আইন অনুযায়ী বনমন্ত্রী ও ঝাড়গ্রামের ডিএফও-র বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয় কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। রাজেশ মাহাতো বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের দিন ঝাড়গ্রাম শহরে যেভাবে হাতিটিকে মেরে ফেলা হলো তারই প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হয়েছে। হাতি এবং মানুষের জীবন রক্ষায় বনমন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন। তাই আমরা বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পদত্যাগের দাবি করছি এবং ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট অনুযায়ী বনমন্ত্রী এবং ডিএফও সাহেবের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে ঝাড়গ্রাম শহরে পাঁচটি হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে। হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। দুপুরে একটি হাতিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে পাকড়াও করার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে। বিকেলে শহরে মধ্যে থেকে যাওয়া বাকি ৪টি হাতিকে তাড়ানোর সময় হুলা পার্টির জ্বলন্ত শলাকার আঘাতে গুরুতর ভাবে আহত হয় একটি স্ত্রী হাতি। স্ত্রী হাতিটিকে চিকিৎসা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে। জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয় হাতিটির। হাতি মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বহু মানুষ। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থানায় এফআইআর করা হয়।