হায়দরাবাদের কাছে তরুণী পশুচিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত কয়েকদিনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন এক মহিলা। পরে পুলিশ তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায়। অভিযোগ, পুলিশ হেপাজতে তরুণীকে মারধর করা হয়েছে।
তরুণীর নাম অনু দুবে। বয়স প্রায় ২৫। এদিন সকালে তিনি প্ল্যাকার্ড নিয়ে সংসদ ভবনের দুই ও তিন নম্বর গেটের মাঝামাঝি ফুটপাথের ওপরে বসে পড়েন। তাঁর প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি ভারতে নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছি না কেন?’ পুলিশ তাঁকে বলে, আপনি যন্তর মন্তরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তিনি যেতে চাননি। পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে। পরে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ওই তরুণী বলেন, তিনি সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল বলেন, “হায়দরয়াবাদে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে এক তরুণী প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। মারধর করেছে।” স্বাতী মালিওয়াল জানান, তিনি থানায় গিয়ে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পুলিশের আচরণে সে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রশ্ন, “যারা প্রতিবাদ জানাবে, তাদের কি এই অবস্থাই হবে?” দিল্লি পুলিশ অবশ্য মারধরের কথা অস্বীকার করেছে।
গত বুধবার হায়দরাবাদের কাছে শমসদাবাদ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক তরুণী পশুচিকিৎসক। ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীর দগ্ধ দেহ পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার।
ধর্ষণ ও খুনের দায়ে আপাতত চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের তিনজনের বয়স ২০ বছর অপরজনের ২৬। তাদের নাম মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকাসাভুলু। চারজনেরই বাড়ি নারায়ণপেট নামে এক জায়গায়। সেই শহর হায়দরাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে। তারা লরির ড্রাইভার ও ক্লিনার হিসাবে কাজ করত। হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।