পাকিস্তানে টিন-এজের শেষ দিক কাটানো যে ব্যক্তি গত বছরই লন্ডনের জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে, তাকেই লন্ডন ব্রিজে হামলায় সন্দেহভাজন বলে মনে করছে পুলিশ। শনিবার পুলিশ এ কথা জানিয়েছে।
জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দার ভাবাদর্শে বিশ্বাসী ২৮ বছর বয়সী উসমান খান এই সন্ত্রাস ঘটিয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। ২০১০ সালে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের হামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার ১৬ বছরের জেল হয়। গত বছরই সে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে। তবে ২০১২ সালে সাজা ঘোষণার সময় উসমান খানকে ‘সিরিয়াস জেহাদি’ বলে মন্তব্য করেন বিচারক। সে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুমতিসাপেক্ষে ২০১৮ সালে সে ছাড়া পেয়েছে জেল থেকে। ডিসেম্বর মাসে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই সে স্ট্যাফোর্ড এলাকায় বসবাস করছিল।
উসমানের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে মায়ের কাছে চলে যায় এবং এই জন্যই তার লেখাপড়া আর হয়নি।
লন্ডন ব্রিজে দু’জনকে হত্যা করার পরে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে উসমানকে। সে বোমা বাঁধা পোশাক পরে রয়েছে বলে তখন রটে গিয়েছিল।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার তথা কাউন্টার টেররিজম পুলিশের প্রধান নীল বসু জানান লন্ডনের নিউ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড থেকে জানান, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের আঘাত বেশ গুরুতর। ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার লন্ডন ব্রিজের কাছে ঐতিহাসিক ফিসমোঙ্গার হলে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উসমান খান।
শুক্রবার লন্ডন হামলার পরে লন্ডন ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে গুলির শব্দ পাওয়া গিয়েছিল। পরে জানা যায় যে এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে হামলা করছে। লোকজন প্রথমে মনে করেছিলেন যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি হচ্ছে। পরে বোঝা যায় হামলার কথা। হামলা আন্দাজ করে কয়েকজন দৌড়ে রেস্তরাঁয় ঢুকে যান। দ্রুত হাজির হয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। দুপুর দু’টো নাগাদ এই হামলা হয়েছিল বলে লন্ডনের পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ব ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পটেল।
লন্ডন ব্রিজ এখন জঙ্গিদের নিশানা হয়ে উঠছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারণ এর আগে ২০১৭ সালের জুন মাসেও লন্ডন ব্রিজে হামলা করেছিল জঙ্গিরা, সে বার ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।