আশঙ্কা সত্যি হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হতেই মাওবাদী তাণ্ডব দেখা গেল। প্রবল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বিষণপুরে।
ভোট শুরু হয় সকাল ৭টায়। বিস্ফোরণ হয়েছে বেলা ৯ টায়। তার মানে ভোটের প্রথম দু ঘণ্টা ছেড়ে দিয়ে হামলা চালাল মাওবাদীরা।
জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে বিষনপুরের গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এরফলে পুরো এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই সেতু দলে পড়ায় এখান দিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের কনভয় যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা।
রাজ্যের সর্বাধিক মাও হামলায় রক্তাক্ত পালামৌ ও লাতেহার। এখানকার সবকটি বুথে প্রবল হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। আগেই তাদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে লাতেহার। মারা যান ৪ নিরাপত্তা কর্মী।
ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের ৫টি দফার প্রতিটি দফায় হামলার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকাল সাতটা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ।
বিশেষভাবে নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন করা হয়েছে কোবরা ফোর্সকে। ঝাড়খণ্ডের মতো মাওবাদী হামলা প্রবণ এলাকায় কোবরা বাহিনী বিশেষ পারদর্শী।
অন্যদিকে মাওবাদীদের জারি করা বার্তায় পরিষ্কার তারা লাতেহার মতো পরবর্তী হামলার জন্য তৈরি। সংগঠনের গোপন বৈঠকে দায়িত্ব পেয়েছেন কাঞ্চন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে নিজের উপস্থিতি বজায় রাখতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলে
গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে, ঝারখণ্ড নির্বাচনে হামলার জন্য বিহার থেকে সংগঠনের একাধিক সদস্যদের আনা হয়েছে।