বিশ্বকর্মা পুজো আসন্ন, আর এই বিশ্বকর্মা পুজোর সাথে ঘুড়ি ওড়ানো ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। কলকাতা ও হাওড়ার শহর এবং শহরতলির অনেক জায়গাতেই প্রচুর ঘুড়ি ওড়ে। কিন্তু অনেকসময় এই ঘুড়ি ওড়ানোই সাধারণ মানুষের জন্য বিপদ বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
এই কথা জানিয়ে সোমবার পূর্ব রেলের এক বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “রেলওয়ে ট্র্যাক সংলগ্ন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর সময় সেই ঘুড়ি যদি কোনওভাবে প্যান্টো বা ওভারহেড তারে লেগে জড়িয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এবং এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে চলেছে।
রেলওয়ে ট্র্যাকের কাছে উড়ন্ত ঘুড়ির বিপদ:
– ওভারহেড তারগুলি উচ্চ ভোল্টেজের সাথে চার্জ করা হয়, যা জীবনকে বিপন্ন করে এবং সম্ভাব্য মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটায়।
– ঘুড়ির সুতো ওভারহেড ইকুইপমেন্টস ওভারহেড তারের সাথে জড়িয়ে যেতে পারে, মসৃণ ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত করতে পারে এবং যাত্রীরা অসুবিধায় পড়তে পারে।
– আটকে থাকা ঘুড়ির সুতোগুলি ক্রসিংয়ের সময় ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফের সাথেও জড়াতে পারে, যার ফলে লাইনে প্যান্টোগ্রাফে জড়ানোর ঘটনা ঘটে।
– ঘুড়িতে ব্যবহৃত মাঞ্জা ওভারহেড তারে শর্ট সার্কিটের কারণ হতে পারে, যার ফলে ক্যাটেনারি তারের বিচ্ছেদ ঘটতে পারে এবং ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।
– ঘুড়ির সুতো ওভারহেড তারের কাঠামোর ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়।
ঘুড়ির সুতোয় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়ে যাত্রীদের অযথা হয়রানি কিংবা সুতো হাই -ভোল্টেজ তারে জড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ানো বালকের মৃত্যু – কোনওটাই অভিপ্রেত নয়।
পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশন নিরাপত্তার সঙ্গে উৎসব উপভোগ করার জন্য একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছে। সচেতনতা অভিযানটি সমস্ত দায়িত্বশীল নাগরিকদের রেলওয়ে ট্র্যাকের কাছে ঘুড়ি না ওড়ানোর জন্য আবেদন করে কারণ, ওভারহেড তারগুলি উচ্চ ভোল্টেজের সাথে চার্জ করা হয়েছে। এটি আপনার জীবনকে বিপন্ন করতে পারে এবং এর ফল মারাত্মক হতে পারে।
তাই পূর্ব রেলের তরফ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে আপনারা রেল পরিসরের থেকে অনেক দূরে ঘুড়ি ওড়ান যাতে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় আপনার জীবন সুরক্ষিত থাকে, ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত না হয় এবং সাধারণ মানুষের রেলযাত্রায় কোনও বিলম্ব না ঘটে।”