‘আমরা বলেছি, শেষ দেখ ছাড়ব’। তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের SFI-র বিক্ষোভে ধুন্ধুমারকাণ্ড আরজি করে। ব্যারিকেড ভেঙে হাসাতালের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিসের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি।
আরজিকরকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য়। জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভে সকাল থেকে উত্তপ্ত হাসপাতাল চত্বর। এরপর বেলা গড়াতেই আন্দোলনরত চিকিত্সকদের পাশে দাঁড়াতে আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছে যায় SFI-সহ একাধিক ছাত্র ও যুব সংগঠন। ব্য়ারিকেড করে যখন আটকানোর চেষ্টা হয়, তখন পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যদের। ব্যরিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি।
খবর পেয়ে আরজি করে পৌঁছন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের বদমাইশ, গুন্ডা ছাত্রের নাম করে, মুক্তাঞ্চল করেছে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে ঢুকতে দেবে না। জুনিয়র ডাক্তারা কোনও প্রশ্ন করতে পারবে না, পরীক্ষায় খারাপ হবে। ধর্মঘট করা হবে। আর এখন তাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রিন্সিপাল নিজে অপরাধী। তাঁকে হাসপাতাল থেকে সরাতে হবে’।
স্রেফ মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেলিম বলেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরে বসে নিজে লুটপাঠ করছেন। ছাত্ররা বিক্ষোভ করতে এসেছে, জুনিয়র ডাক্তারা বিক্ষোভ করছে, মস্তানি করতে এসেছে। পুলিস উল্টে ছাত্রকে ধরেছে। তারা প্রতিবাদ করতে পারবে না!বাম আমলে এ হতে পারত! কোনও রোগী, কোনও চিকিত্সক, কোনও চিকিত্সক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ,স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে, পুলিসমন্ত্রী হিসেবে যে দালালরাজ আর অপরাধ জগত্ তৈরি করেছেন, সেখানে কেউ নিরাপদ নয়। আমরা বলতাম সিটি অফ জয়,. আজকে কলকাতা হচ্ছে সিটি অফ ভয়’!
এদিকে আরজিকর কাণ্ডে রাজনীতির রং লাগুক, তা চাননি আন্দোলনকারী চিকিত্সকরা। তাঁদের সাফ কথা, যদি কেউ আন্দোলনে শামিল হতে চান, সেক্ষেত্রে রাজনীতি রং নিয়ে নয়, সাধারণ নাগরিক হিসেবে যেন আন্দোলনে শামিন হন। সেলিম বলেন, ‘এখানে কিছু কিছু দালাল আছে। যখনই কোন আন্দোলন হয়, বলে না, কোনও রাজনীতির ঝান্ডা থাকবে না। লাল ঝান্ডা থাকবে না, সিপিআইএম থাকবে না। কিছু দালাল আছে, নবান্নে গিয়ে বোঝাপড়া করে নেবে। আমরা বলেছি, শেষ দেখে ছাড়ব’।