মাত্র ১০০ গ্রামে ওজনের জন্য প্যারিস অলিম্পিক্সে নিশ্চিত পদক হাতছাড়া হয়েছে ভিনেশ ফোগাটের। সারা রাত চেষ্টা করেও অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেননি। কয়েক বছর আগে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন মেরি কম। সে বার চার ঘণ্টায় ২ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়ে একটি প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন ছ’বারের বিশ্বজয়ী বক্সার। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন মেরি।
২০১৮ সালে পোল্যান্ডে আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন মেরি। সে বার ৪৮ কেজি বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। মেরি বলেছেন, ‘‘আমরা রাতে পোল্যান্ডে পৌঁছে ছিলাম। সাড়ে তিনটে নাগাদ। সকাল সাড়ে ৭টা ওজন দিতে হত। আমার ওজন প্রায় ২ কিলোগ্রাম মতো বেশি ছিল। ওজন কমানোর জন্য চার ঘণ্টা সময়ও পাইনি। ওজন ৪৮ কিলোগ্রামের থেকে বেশি থাকলে প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই বাতিল হয়ে যেতাম।’’
অলিম্পিক্স পদকজয়ী বক্সার আরও বলেছেন, ‘‘ওজন কমানোর জন্য টানা এক ঘণ্টা স্কিপিং করেছিলাম। এক বারও থামিনি। প্রচুর ঘাম ছড়িয়েছিলাম। যে বিমানে আমরা গিয়েছিলাম, সেটা বেশ ফাঁকা ছিল। তাই একটু পা ছড়িয়ে ঘুমোতে পেরেছিলাম। তেমন কিছু খাইনি। সেই বিশ্রামটা আমার কাজে এসেছিল।’’ চার ঘণ্টায় আপনার ওজন কি ৪৮ কেজির মধ্যে এসেছিল? মেরি বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, প্রয়োজন মতো ওজন কমাতে পেরেছিলাম। সেই প্রতিযোগিতায় সোনাও জিতেছিলাম।’’
মেরি জানিয়েছেন, ওজন কমানোর পদ্ধতি বেশ কষ্টকর। খেলোয়াড় এবং কোচদের বিষয়টি অজানা নয়। প্রতিযোগিতার নিয়ম জেনে সেই মতো পরিকল্পনা করা উচিত আগে থেকে।