আশা ছাড়েননি বিনেশ ফোগাট। প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে বাতিল হওয়ার পরে রুপো জেতার দাবিতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে অভিযোগ করেছেন তিনি। বিনেশের আবেদন গৃহীত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু শুনানি।
আবেদন গৃহীত হলেও বিনেশের রুপো জেতার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বিনেশ বাতিল হওয়ার পরেই ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিংয়ের (ইউডব্লিউডব্লিউ) সভাপতি নেনাদ লালোভিচ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সকলের উচিত নিয়ম মানা। যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিনেশের জন্য আমারও খারাপ লাগছে। ওর ওজন সামান্য বেশি ছিল। কিন্তু নিয়ম তো নিয়মই। সব কিছুই পরিষ্কার। সবার সামনে সব কিছু হয়েছে। সেখানে অন্য খেলোয়াড়েরাও ছিল। অনুমোদিত ওজন বজায় রাখতে ব্যর্থ এক জনকে কী করে অনুমতি দেওয়া যায়? প্রতিযোগিতা নিয়ম অনুযায়ী চলবে।’’ বিনেশ ফাইনালে ফাইনালে উঠলেও তাঁকে রুপো দেওয়া অসম্ভব বলে জানিয়েছিলেন লালোভিচ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এ ভাবে পদক দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ওজনের জন্য ও অন্য ক্যাটেগরিতে চলে যাচ্ছে। আমরা কেউ নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। সবাইকে এক নিয়ম মেনে চলতে হয়। এ রকম ক্ষেত্রে সকলেই একটা শেষ চেষ্টা করে। ভারতও আবেদন করেছে। কিন্তু তাতে কিছু বদল হওয়া সম্ভব নয়।’’ সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে যে, বিনেশ নিয়মরক্ষার খাতিরে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাঁর রুপো জেতা প্রায় অসম্ভব।
ভারত সরকার আইনজীবী হরিশ সালভেকে নিয়োগ করেছে। আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে অনেক মামলা লড়েছেন তিনি। আইনজীবীর নাম জানানোর জন্য বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় রাতে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল বিনেশকে। প্রথমে ঠিক ছিল, বৃহস্পতিবার শুনানি হবে। কিন্তু আইনজীবী নিয়োগে দেরি হওয়ার কারণে শুক্রবার সকালে হবে সেই শুনানি।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে দু’টি আবেদন করেছিলেন বিনেশ। প্রথম আবেদন ছিল, ফাইনালে খেলতে দেওয়া হোক তাঁকে। সেই আবেদন খারিজ করা হয়েছে। দ্বিতীয় আবেদন ছিল, তাঁকে রুপো দেওয়া হোক। সেই আবেদনের শুনানি হবে।
প্যারিস অলিম্পিক্সে মহিলাদের ৫০ কেজি বিভাগে ফাইনালে উঠেছিলেন বিনেশ। কিন্তু ফাইনালের দিন সকালে তাঁর ওজন ১০০ গ্রাম বেশি থাকায় বাতিল করা হয়েছিল তাঁকে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের আগেই অবশ্য বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের অবসর ঘোষণা করেছেন বিনেশ। জানিয়ে দিয়েছেন, আর শক্তি বাকি নেই তাঁর।