Jhargram, BDO office, কাজের বকেয়া টাকার দাবি, ঝাড়গ্রাম বিডিও অফিসে ধর্না ও ডেপুটেশন ঠিকাদারদের

স্কুল, আইসিডিএস সেন্টার, শৌচালয় নির্মাণ করে ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সরকারি ঠিকাদারদের লক্ষ লক্ষ টাকা রয়েছে বকেয়া। বকেয়া টাকা অবিলম্বে প্রদান করার দাবিতে বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের বিডিও অফিসের ধর্না অবস্থান করলো ঠিকাদাররা। ধর্না চলাকালীন ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলেন বিডিও জয় আহমেদ। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় ধর্না প্রত্যাহার করে বিডিওকে ডেপুটেশন দেওয়া হয় ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে।

জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করেছেন ঝাড়গ্রাম ব্লকের প্রায় ৩৫ জন ঠিকাদার। তারমধ্যে ৩২ জন ঠিকাদারের একাধিক প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। বহুবার বিডিও, জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং সর্বশিক্ষা মিশনের অফিসে অভিযোগ জানিও কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে একজোট হয়ে বিডিও’র চেম্বারের বাইরে ধর্নায় বসে ঠিকাদাররা। সরকারি ঠিকাদার সৌমেন ব্যানার্জি, শোভন কুমার পাল, পঙ্কজ মাহাতো, রঞ্জন মাহাতোরা জানানা-

১) ২০২২ সাল থেকে সর্বশিক্ষা মিশনের স্কুল রিপেয়ারিং- এর নতুন ভবন তৈরির ৩২ জন ঠিকাদারের প্রায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে।
২) ২০১৯ সাল থেকে PUAD ফান্ডের মাধ্যমে নতুন আইসিডিএস ভবন নির্মাণের ৪২ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে ১০ জন ঠিকাদারের।
৩) ২০২৩ সাল থেকে সর্ব শিক্ষা মিশনের ফান্ডের মহিলা শৌচাগার নির্মাণের ১৫ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে ৬ জন ঠিকাদারের।
৪) ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনী ফান্ডের কাজের ১২ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে ৫ জন ঠিকাদারের।
৫) ২০২০ সালের MGNREGA এর মেটারিয়াল বিল বাবদ ৮০ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে ২০ জন ঠিকাদারের।

ঝাড়গ্রামের বিডিও জয় আহমেদ বলেন, “এনারা এর আগেও বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন এবং আমরাও বিষয়টি জেলাতে বেশ কয়েকবার জানিয়েছি। জেলা আমাকে আশ্বাস দিয়েছে তারা রাজ্যের সঙ্গে কথা বলছে, ফান্ড চলে আসলেই ঠিকাদারদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। এই অবস্থায় অন্য কোনো ফান্ড নেই যার মাধ্যমে তাদের বকেয়া টাকা মেটানো সম্ভব। ওই ফান্ডের টাকা পাওয়া গেলে তাদের দ্রুত দেওয়া হবে। এই বিষয়টি তাদের বলা হলে তারা ধর্না প্রত্যাহার করে নেয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.