প্রথম সিরিজ়েই হার রোহিত-গম্ভীর জুটির, ১১০ রানে পরাজয়, ভারতকে ২৭ বছর পর হারাল শ্রীলঙ্কা

শুরুটা ভাল হল না গৌতম গম্ভীর ও রোহিত শর্মা জুটির। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ় হারল ভারত। প্রথম ম্যাচ টাই হয়েছিল। পরের দুই ম্যাচ হারল ভারত। বুধবার তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ ১১০ রানে জিতল শ্রীলঙ্কা। ২৭ বছর পরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ে ভারতকে হারাল তারা।

গোটা সিরিজ়ে ভারতকে ভুগিয়েছে শ্রীলঙ্কার স্পিন বোলিং। তৃতীয় ম্যাচেও সেই ছবিই দেখা গেল। এই সিরিজ়ে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বিরুদ্ধে মোট ২৭টি উইকেট হারিয়েছে ভারত, যা তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ে সর্বাধিক। মাহিশ থিকসানা, জেফরি ভান্দারসে, দুনিথ ওয়েল্লালাগের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না ভারতীয় ব্যাটারেরা।

প্রথম দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও আগে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। শুরুটা ভাল করেন দুই ওপেনার পাথুম নিশঙ্ক ও আবিষ্কা ফার্নান্দো। ভারতীয় পেসারদের সামলান দুই ব্যাটার। ৮৯ রান যোগ করেন তাঁরা। ৪৫ রান করে আউট হন নিশঙ্ক। দ্বিতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আবিষ্কা। ভারতের বোলারেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না।

পেসার মহম্মদ সিরাজ় এই সিরিজ়ে নজর কাড়তে পারলেন না। এই ম্যাচেও রান দিলেন তিনি। দু’জন যখন খেলছিলেন, দেখে মনে হচ্ছিল ৩০০ রানের বেশি করবে শ্রীলঙ্কা। ভারতকে খেলায় ফেরান রিয়ান পরাগ। ভারতের পক্ষে এই সিরিজ়ে যদি কিছু ভাল হয়, তা হল বল হাতে পরাগের ফর্ম। প্রথমে আবিষ্কাকে ৯৬ রানে আউট করেন তিনি। মেন্ডিসকে ৫৯ রানে ফেরান কুলদীপ যাদব।

শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার রান পায়নি। পরাগ আরও দু’টি উইকেট নেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। ৭৭ রানে শেষ ৬টি উইকেট পড়ে তাদের।

ভারত এই ম্যাচে ন’জন ব্যাটার নিয়ে খেলছিল। ন’নম্বরে ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তার পরেও ব্যর্থ হল ব্যাটিং। রোহিত রান তাড়া করতে নেমে নিজের পরিচিত কায়দায় খেলছিলেন। ২০ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। বিরাট কোহলি করেন ২০ রান। বাকিরা ব্যর্থ। শুভমন গিল (৬), ঋষভ পন্থ (৬), শ্রেয়শ আয়ার (৮), অক্ষর পটেল (২), পরাগ (১৫), শিবম দুবে (৯) রান পাননি।

শেষ দিকে কয়েকটি বড় শট খেলার চেষ্টা করেন সুন্দর। তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তিনি ৩০ রানে আউট হওয়ার পরে বেশি ক্ষণ লাগেনি ভারতের ইনিংস শেষ হতে। ২৬.১ ওভারে ১৩৮ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত। ১১০ রানে জেতে শ্রীলঙ্কা। তাদের হয়ে ওয়েল্লালাগে ৫টি এবং ভান্দারসে ও থিকশানা ২টি করে উইকেট নেন।

কোচ হিসাবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় যতটা ভাল গিয়েছিল গম্ভীরের, এক দিনের সিরিজ় ততটাই খারাপ গেল। প্রশ্ন উঠে গেল দলের খেলার মানসিকতা নিয়ে। পরিস্থিতি না বুঝে সকলেই আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেন। শ্রীলঙ্কার মতো দলের বিরুদ্ধে এ ভাবে হারলে বড় দলের বিরুদ্ধে তো আরও চাপে পড়বে ভারত। পরের সিরিজ়ের আগে এই ভুল শোধরাতে হবে গম্ভীর, রোহিতদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.