যাতায়াতের কোনও উপায়ই রইল না! রেল, সড়কের পর এবার আকাশ পথেও বিচ্ছিন্ন ভারত ও বাংলাদেশ। ঢাকায় পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হল, ‘পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যাত্রী ও ক্রু-দের নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’।
দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এখন জনতার দখলে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছেন শেখ হাসিনা। সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তাঁর কথায়, ‘দেশে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। তবে সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখুন সমস্ত হত্যার বিচার করা হবে’।
ঘড়িতে তখন ৫টা ৩৬ মিনিটে। বিকেলে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানবন্দরে নামে হাসিনার কপ্টার। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ঢাকা বিমান পরিষেবার বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে এয়ার ইন্ডিয়া।
এদিকে বিক্ষোভের জেরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে ভারতীয় রেল। এমনকী, বন্ধ বাস পরিষেবাও। ভারতগামী প্রায় শ’তিনেক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে। এদিন ঢাকার ধানমুন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাড়ি আন্দোলনকারী আগুন ধরিয়ে দেন বলে খবর। গতকাল, রবিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘর্ষের প্রাণ হারিয়েছেন ১০০ জন। আহত হাজারেরও বেশি।