বৃষ্টি শুরু হতেই জেলায় জেলায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার আতঙ্কের ছায়া। হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কার্যত উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতর ও পৌরসভার।
চলতি বর্ষার মরশুমে মশা বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাঁকুড়ায়। স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় মোট ৮০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশীরভাগই রানীবাঁধ ও ছাতনা ব্লক এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন, যার মধ্যে ২০ জন ওন্দা ব্লকের পুনিশোল এলাকার, ১৮ জন বাঁকুড়া ১ নং ব্লকের আঁচুড়ি ও ৬ জন বাঁকুড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা।
ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু আক্রান্তদের আনেকেই চিকিৎসাধীন আছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা ইউনিট। সেখানেই রেখে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে কয়েক জন রোগীকে High Dependency Unit -এ রাখা হয়েছে বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে খোলা হয়েছে স্পেশাল ফিভার ক্লিনিক।
জ্বর, মাথা ব্যাথা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে তারা প্রত্যেকেই। একদিকে যেমন চিন্তায় রয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পৌরসভার। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত বেশ কিছু রোগী। তবে এখনই জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক নয় বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
বাঁকুড়া পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি বাঁকুড়া পৌরসভার।গত বছরে বাঁকুড়া পৌর এলাকাতে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকে ছিল ১২২ জন।এবার তাই আনেক আগে ভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ধারাবাহিকভাবে জনসচেতনতামূলক প্রচার ও পৌর এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চালাচ্ছে বাঁকুড়া পৌরসভা। তাই ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে নিয়ন্ত্রণে এমনটাই দাবি পৌর প্রধানের।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ ছুঁইছুঁই। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে ধূপগুড়িতে ছাড়া হল গাপ্পি মাছ। দিও ধুপগুড়ি ব্লক এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম এমনটাই দাবি ধূপগুড়ি মহকুমা শাসক পুস্পা দোলমা লেপচার। জেলায় চলতি বছরে ডেঙ্গি আকাশে সংখ্যা ১৫০ বলে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিম হালদার জানিয়েছেন। তাই উদ্বেগ থেকেই যায়। সেকারনেই জেলা জুড়েই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধূপগুড়ি শহরের প্রায় সবগুলি ওয়ার্ডের নর্দমা গুলিতে ছাড়া হল গাপ্পি মাছ।আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ধূপগুড়ি মহকুমা শাসক পুস্পা দোলমা লেপচা, পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অঞ্জন রায় নর্দমাতে গাপ্পি মাছ ছাড়েন। সেই সঙ্গে ওয়ার্ড গুলিতে সার্ভে করছেন পুরসভার নিযুক্ত কর্মীরা।
যেখানে যেখানে জমা জল রয়েছে বিশেষত টায়ারের দোকানে ফেলে দেওয়া টায়ার এবং বিভিন্ন ওয়ার্কশপ এবং বাড়ির আশেপাশে জমা জল সেগুলির বিষয়ে সর্তক করা হচ্ছে।সার্ভে করে সেগুলির বিষয়ে সর্তক করা হচ্ছে। এছাড়াও পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন টিম করে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে জমা জলে।যা মশার লার্ভাগুলিকে নাশ করবে।