ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার অন্যতম নেতা ফুয়াদ শুক্র নিহত! এমনই দাবি করল ইজ়য়ালের সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার থেকে সিরিয়াকে কেন্দ্র করে লড়াই শুরু হয়েছিল ইজ়য়াল এবং হিজ়বুল্লার মধ্যে। হিজ়বুল্লা, তাদের অধিকৃত ‘সিরিয়ান গোলান মালভূমি’ (গোলান হাইটস) এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। পাল্টা জবাব দেয় ইজ়য়ালের সেনাও। দু’পক্ষের লড়াইয়েই খতম ফুয়াদ, দাবি ইজ়য়ালের। যদি হিজ়বুল্লার তরফে এই দাবির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি এখনও।
ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের যুদ্ধবিমান লেবাননের বৈরুত এলাকায় হিজ়বুল্লার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। সেখানেই তাদের প্রথম সারির এক কমান্ডর মৃত্যু হয়েছে। ওই কমান্ডর বিভিন্ন সশস্ত্র হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন বলেও দাবি ইজ়রায়েলের। সে দেশের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, ফুয়াদ ছিলেন মাজদাল শামস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। গোলান মালভূমির দ্রুজ ভাষাভাষী গরিষ্ঠ মাজদাল শামস শহরে রকেট হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন। এমনকি, ফুয়াদ হিজ়বুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লার ঘনিষ্ঠ ছিল বলেও জাবি করেছে ইজ়রায়েল ফৌজ।
সামরিক বাহিনী তাদের বিবৃতিতে আরও দাবি করেছে, গাজ়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইজ়রায়েলের উপর হামলা চালানোর নির্দেশও দিয়েছিলেন ওই হিজ়বুল্লা নেতা ফুয়াদ। এ ছাড়াও ৯০ দশকে ইজ়রায়েলের তিন সেনা আধিকারিককে অপহরণ এবং খুনের নেপথ্যেও ফুয়াদের ‘সরাসরি’ যোগ ছিল। তার পর থেকে ইজ়রায়েলে একাধিক সশস্ত্র হামলার ছক কষেছেন। হাগারির দাবি, কোনও বৃহত্তর যুদ্ধ ছাড়াই ‘যে কোনও পরিস্থিতি’তে হিজ়বুল্লার সঙ্গে শত্রুতা বন্ধ করতে চেয়েছিল ইজ়রায়েল। কিন্তু পুয়াদের মতো নেতাদের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য গাজ়া ভূখণ্ডকে কেন্দ্র করে ইজ়রায়েল এবং হামাসের লড়াই চলছে। সেই লড়াইয়ে পরোক্ষ ভাবে মদত ছিল হিজ়বুল্লার। গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরেই স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠনটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল হিজ়বুল্লা। উপস্থিতি জানান দিতে ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে তিনটি রকেট ছুড়ে ‘প্রতীকী হামলা’ চালানো হয়েছিল সে সময়। তার পর থেকে তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই চলছে ইজ়রায়েলি ফৌজের।