৩০-৩০ করতে পারতেন রাফায়েল নাদাল। নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৯-৩১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেন নাদাল। প্যারিস অলিম্পিক্সে সিঙ্গলসের দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াইয়ে জোকারের কাছে ১-৬, ৪-৬ ব্যবধানে হেরে গেলেন নাদাল। প্রিয় ফিলিপ শঁতিয়ের কোর্টে নাদাল যেন অতীতের ছায়া। ১ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের লড়াইয়ের পর অলিম্পিক্স সিঙ্গলসের তৃতীয় রাউন্ডে চলে গেলেন জোকার।
নাদাল-জোকোভিচ লড়াই দেখতে ফরাসি ওপেনের সেন্টার কোর্টে ভিড় করেছিলেন টেনিস প্রেমীরা। দেশের হয়ে খেলতে নামা বিশ্বের অন্যতম দুই সেরা খেলোয়াড়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রত্যাশাও ছিল। কিন্তু ১৪ বার ফরাসি ওপেন জয়ী নাদাল প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। বলা যায় জোকোভিচের বিরুদ্ধে তেমন লড়াইই করতে পারলেন না। মাঝে মাঝে বোঝা যাচ্ছিল না সত্যিই নাদাল খেলছেন কিনা। যে লাল সুরকির কোর্টে তিনি এক সময় অপ্রতিরোধ্য ছিলেন, সেই কোর্টেই সময় সময় অসহায় দেখাল নাদালকে।
জোকোভিচ ছিলেন চেনা ফর্মে। জানতেন, এই নাদাল আগের রাফায়েল নয়। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছেন পাওয়ার টেনিস দিয়ে। শক্তিশালী সার্ভিস, ব্যাকহ্যান্ড, ফোরহ্যান্ড তো ছিলই। দ্রুত কোর্ট কভারিংয়েও নাদালকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। টেনিসের সব বিভাগেই অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন নাদাল। প্রথম সেটে ৩৯ মিনিটে ৬-১ ব্যবধানে নাদালকে উড়িয়ে দিলেন জোকোভিচ।
পিছিয়ে পরার পরও নাদাল অবশ্য লড়াই থেকে পিছিয়ে যাননি। চোট-জর্জরিত স্পেনীয় সমানে সমানে লড়াইয়ের চেষ্টা করলেন দ্বিতীয় সেটে। প্রতি বারের মতো গ্যালারির দর্শক সমর্থনও বেশি ছিল নাদালের সঙ্গে। তাঁকে নাগাড়ে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন টেনিসপ্রেমীরা। কিন্তু জোকোভিচের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তো আর শুধু উৎসাহ দিয়ে জেতা সম্ভব নয়। নাদালও পারলেন না। দ্বিতীয় সেটে তুলনায় ভাল খেলেও হারলেন ৪-৬ ব্যবধানে। দ্বিতীয় সেটে দুই মহাতারকার লড়াই হল ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট। তবু সব মিলিয়ে নাদাল-জোকোভিচ ম্যাচে একপেশে লড়াইয়ে মন ভরল না।