’২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ৩৫টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। কিন্তু, বিজেপি আটকে যায় ১২য়। সোমবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ঘরে বাংলার সেই ১২ জন বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দেখা করলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার থেকে শান্তনু ঠাকুর, প্রথম বারের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনা করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর হাতে বিরসা মুণ্ডার একটি প্রতিকৃতি তুলে দেন সাংসদ খগেন মু্র্মু। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সাংসদদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য কী করা যায়, তা জানাতে হবে। নিজেদের এলাকার কী কী উন্নয়ন করা যায়, সাংসদদের সেই পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। বিজেপি সূত্রে এ-ও খবর, বাংলার ১২ জন বিজেপি সাংসদকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিজ নিজ লোকসভা এলাকায় সকলকে ভাল করে কাজ করতে হবে। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবেই। বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং লোকসভায় বিজেপির ফলাফল নিয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে আশাপ্রদ ফল করেনি বিজেপি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে দু’টি আসন পেয়েছিল পদ্মশিবির। সেখান থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন সংখ্যা পৌঁছে যায় ১৮-তে। এ বার ৩৫ আসনের লক্ষ্য নিয়ে ঢালাও প্রচার করে বিজেপি। কিন্তু ১২টি আসন জয়ের পরেই থমকে গিয়েছে পদ্মশিবিরের জয়রথ। এই ফলাফলের পর সাংগঠনিক স্তরে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের রণকৌশল তৈরির প্রক্রিয়াও।
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামিদিনে বাংলায় আরও ভাল কাজ করার জন্য বিজেপি সাংসদদের উদ্বুদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বস্তুত, লোকসভা ভোটের ফলের পর এই প্রথম বার বাংলার সব বিজেপি সাংসদ একত্রে মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১২ জন সাংসদকে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন, মানুষের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে আরও প্রচার করতে হবে। মানুষের মনে বিজেপি সম্পর্কে আস্থা তৈরিতে পদক্ষেপ করতে হবে সমস্ত জনপ্রতিনিধিকে। এক সাংসদ জানিয়েছেন, বাংলার মানুষের স্বার্থে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী দলের সাংসদদের এ-ও বলেছেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য কী করা যায়, তা জানাতে হবে।