হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলির আলাদাই তাৎপর্য। মানুষের বিশ্বাস, শ্রাবণ সোমে জলাভিষেকে তুষ্ট হল দেবাদিদেব মহাদেব। পাওয়া যায় তাঁর আশীর্বাদ। আগামিকাল তো সোমবার। তারকেশ্বরে গিয়ে বাবার মাথায় জল ঢালতে চাইছে আপনার মন। ভাবছেন যে,যাবেন কী করে। কারণ লোকাল ট্রেনে তো উপচে পড়া ভিড় হবে! ভোগান্তিও হবে বিস্তর। তবে আপনার আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। আপনার জন্য় তৈরি পূর্ব রেল। ভক্তদের কথা মাথায় রেখেই একাধিক বিশেষ ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল। বিশেষ ট্রেনগুলি পূণ্যার্থীদের সুবিধামতো সময়েই চলবে। একদিকে যেমন হাওড়া থেকেও যেতে পারবেন তারকেশ্বরে। তেমনই শেওড়াফুলি থেকেও গঙ্গা জল নিয়ে তারকেশ্বরে যেতে পারবেন।
শ্রাবণী মেলার পুণ্য়লগ্নে জলাভিষেকের সুবিধার্থে পূণ্যার্থীদের পরিবহণের জন্য শেওড়াফুলি ও তারকেশ্বর মধ্যে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি শেওড়াফুলি থেকে সকাল ০৬:৫৫, ০৯:২০, ১৬:২০ এবং ১৯:৪০-এ ছেড়ে তারকেশ্বর এ সকাল ০৭:৪৫, ১০:১৫, ১৭:১০ এবং ২০:৩০-এ পৌঁছাবে। ফিরতি পথে আবার তারকেশ্বর থেকে শেওড়াফুলি ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি সকাল ০৫:৫৫, ০৮:১০, ১৪:৫০ এবং ১৮:৪০-এ ছেড়ে শেওড়াফুলিতে সকাল ০৬:৪৫, ০৯:০৩, ১৫:৪০ এবং ১৯:৩০-এ পৌঁছবে। পূণ্যার্থীদের হাওড়া থেকে তারকেশ্বর নিয়ে যেতে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে সকাল ০৪:০৫ ও দুপুর ১২:৫০-এ, ১৩: ২০তে ছেড়ে তারকেশ্বরে সকাল ০৫:৩৫ ,বিকাল ১৪:২০ ও ১৪:৫০ পৌঁছবে। একইভাবে, মহাদেবের দর্শনের পর ভক্তদের হাওড়ায় ফেরার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তরাকেশ্বর থেকে সকাল ১০:৫৫ , ১১:৩৫ ও রাত ২১:১৭-এ ছেড়ে হাওড়ায় দুপুর ১২:৩০ , ১৩:০৫ ও রাত ২২:৪৫-এ পৌঁছবে।
এছাড়াও স্টেশন চত্বরে পূণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য সব রকম আয়োজন করা রয়েছে। যেমন অতিরিক্ত বুকিং কাউন্টার থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পানীয় জলের বন্দোবস্ত। যাতে কোনও রকম সমস্যা নাহয়। সমস্ত ব্যবস্থা পূর্ব রেল করে রেখেছে। আপনারা নিশ্চিন্তে মনকে শান্ত করতে ঘুরে আসুন তারকেশ্বর থেকে। মহাদেবের চরণে ঠাঁই নেওয়ায় আর রইল না ট্রেন যাত্রা জনিত কোনও ভোগান্তিই।