২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে নতুন একটি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। এ বার এক মামলাকারীর অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ চাকরিপ্রার্থীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর গণনায় ভুল করেছেন। ওই কারণে তাঁর মতো অনেক চাকরিপ্রার্থী যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকের চাকরি পাননি। শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে পর্ষদের কাছে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে আদালত। ৮ অগস্টেই মামলাটির শুনানি হতে পারে।
মামলাকারী আজম মহম্মদ মোল্লার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। তিনি ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় এক জন প্রার্থী। তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে জানান, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর গণনায় ভুল করেছে প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ। এ জন্য তাঁর মক্কেলের মতো বেশ কয়েক জন কাউন্সেলিং-এ জায়গা পাননি। এ নিয়ে বোর্ডের ব্যাখ্যা কী? জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি সিংহ।
প্রাথমিকে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০২২ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজার ৭৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ন’হাজার ৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১১,৭৫৮ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বিএড এবং ডিএলএড— উভয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। তবে পরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা সুযোগ পাবেন না।