বিধানসভায় সংবিধান দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে মুখোমুখি হয়েও কোন কথা বললেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুধু তাই নয়, বিধানসভায় দাঁড়িয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন তিনি৷
রাজ্যের আইনসভাতেও মমতার সরকারের সঙ্গে সংঘাত জারি রাখলেন রাজ্যপাল৷ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিধানসভায় ঢোকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর দিকে তাকাননি ধনখড়। সোজা এগিয়ে যান। এরপর আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে ঢুকে যান বিধানসভার অধিবেশনকক্ষে। তখনও দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এড়িয়ে যান রাজ্যপাল। তারপর রাজ্যপাল বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলেন৷ জানতে চান, কেমন আছেন? কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দিকে একবারের জন্যও তাকাননি৷
এরপর নিজের ভাষণে নাম না করে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন ধনখড়। কোনওরকম রাখঢাক না করে তিনি বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে আমাকে। সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে।” এমনকি এই অনুষ্ঠানে তাঁকে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান ৷
এরপর বাংলার প্রসঙ্গে না গিয়ে মোদীর-কাশ্মীর নীতির ঢালাও স্তুতি করলেন রাজ্যপাল ধনকড়। তাঁর কথায়, ”কাশ্মীরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নকে সফল করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে জঙ্গি দমনে সমর্থন করা উচিত।’ পরে রাজ্যপালের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতাতেই খোঁচা দিয়ে বললেন, “অনেকের কথা শুনে ইদানীং হাসি পায়। ওই যে একটা গান আছে না! তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত!”
সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাজ্য বিধানসভায় দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেই উপলক্ষেই এদিন রাজ্যপালের ভাষণ ছিল। ওই অনুষ্ঠানে লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন। তা ছাড়া নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন।