ডাকাতদের পিছনে ছুটল পুলিশ, চলল গুলি, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে গাজোলের ব্যাঙ্ক লুটকাণ্ডে ধৃত তিন

দু’ঘণ্টার মধ্যেই মালদহের গাজোলে ডাকাতি ও গুলিকাণ্ডের কিনারা! ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা পালানোর পরেই তাদের পিছু ধাওয়া করেছিল পুলিশ। নাগালে আসতেই দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সেই গুলিতে ঘায়েল হয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই ডাকাত! ডাকাতির ঘটনায় পরে গ্রেফতার হন আরও এক জন। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

বুধবার বেলার দিকে গাজোলের কেষ্টপুর সমবায় সমিতির ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাত-আট জন হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ব্যাঙ্কে ঢোকেন। তাঁদের আটকাতে গিয়ে গুলি লাগে হিসাবরক্ষক যোগেশ্বর মণ্ডলের। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে। তাঁকে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, প্রায় ছ’লক্ষ টাকা লুট করেছে দুষ্কৃতীদলটি। এই ঘটনার পরেই এলাকায় পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতির পরেই চারচাকা গাড়িতে করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীদলটি। পুলিশ পিছু ধাওয়া করছে দেখে গুলিও চালিয়েছিল তারা। এর পর ভাবুক অঞ্চলের মন্দিলপুর এলাকায় গাড়ি রেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। সেই সময়েই গুলি চালায় পুলিশ। এক জনের পায়ে গুলি লাগে। আর এক জনের কোমরে। গুলি লাগতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তারা। তাদের ওই অবস্থায় ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় বাকিরা। গুলিবিদ্ধ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় পরে। ধৃতদের এক জনের বাড়ি মালদহের চাঁচলে, অন্য জনের গাজোলের কৃষ্ণপুর এলাকায়।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ি রেখে পালানোর সময় এক ব্যাগ ফেলে রেখে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অনুমান, সেই ব্যাগে বোমা রয়েছে। এলাকায় বম্ব স্কোয়াডকেও ডাকা হয়। ঘেরা হয় গোটা গ্রাম। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.