মঙ্গলবার ক্লাবগুলোকে দুর্গা পুজোর অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটিগুলি পিছু ৭০ হাজার থেকে আরো ১৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবকে টাকা দিন, কিন্তু তার সাথে জিনিসের দাম কমান, ডিএ দিন, চাকরি দিন।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে বসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পুজোয় ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, “উনি ক্লাবকে টাকা দেবেন দিন, তার সঙ্গে ডিএ দিন, চাকরি দিন, জিনিসপত্রের দাম কমান, বিদ্যুতের দাম বাড়াবেন না। এগুলোও করুন।” সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন যে, ছেলেগুলো ক্লাবে গিয়ে আনন্দ করবে, মজা করবে, ক্যারাম খেলবে বা অন্য কিছু করবে তাদের বাড়িতেও তো বিদ্যুতের বিল আসছে। ক্লাবের বিদ্যুৎ বিলে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছেন, বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে কী হবে? সেখানে তো হরির লুট চলছে। সেই টাকার ভাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সিইএসসি তো রাজস্থানে কম পয়সায় বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। তাহলে এখানে কেন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, “আমাদের, আপনাদের পকেট কেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই টাকা চুরি করছে।”
আজ মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। বিজেপি কাউন্সিলর তথা এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা সজল খোঁজ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার ডিএ দিতে পারছে না, চাকরি দিতে পারছে না, তারা অনুদান দিয়ে ভোট বৈতরণী পারের চেষ্টা করছে। মানবিকতার কারণেই টাকা তারা প্রত্যাখ্যান করছেন। সজলবাবু বলেছেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই, উনি পুজো নিয়ে ভেবেছেন। বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, “আমরা একবার এই অনুদানের টাকা নিয়েছিলাম, যখন সেটা হাজার দশেক ছিল। তখন রাস্তায় কেউ বসে থাকতো না। চাকরির দাবিতে মেয়েরা মাথা কামাতেন না। আজ যখন তারা রাস্তায় বসে আছেন বছরের পর বছর, এই টাকা নিলে তাদের অভিশাপ লাগবে না?”