করোনামুক্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চিকিৎসকের সবুজ সঙ্কেত পেতেই হোয়াইট হাউসে ফেরার ব্যাপারে উদ্যোগী হন তিনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খরব, মঙ্গলবারই নিজের বাসভবনে ফিরে এসেছেন বাইডেন। বুধবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা আছে তাঁর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে আসার পর এটাই হবে বাইডেনের প্রথম ভাষণ। তাই তিনি কী বলেন, সে দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের।
গত ১৭ জুলাই বাইডেনের করোনা ধরা পড়ে। তার পরই প্রচার কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রেখে নিভৃতবাসে যেতে হয় অশীতিপর এই রাজনীতিককে। তার পর থেকে তাঁর ঠিকানা ছিল ডেলাওয়ারে নিজের বাসভবন। এই কয়েক দিন সেখানেই চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে ছিলেন তিনি।
সুস্থতার কথা সমাজমাধ্যমে নিজেই জানান বাইডেন। তিনি লেখেন, ‘‘আমি এখন অনেক ভাল বোধ করছি।’’ তার পরই তিনি বলেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে ফিরতে ফেরে আমি খুশি।’’ হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর বাইডেনের আরটিএ করেন। তাঁর নেতিবাচক রিপোর্ট হোয়াইট হাউসের সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন বলেই খবর।
বাইডেনের বয়স, শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছিল। নির্বাচনী লড়াইয়ে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী করা নিয়েও নানা শিবিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এমনকি, ডেমোক্র্যাটদের একটা অংশ বাইডেনকে নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তাঁর পরিবারও বাইডেনের ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিল। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বাইডেন সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেন, তিনি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না।
বাইডেনের উত্তরসূরি হিসাবে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে কে লড়বেন, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। প্রার্থী বাছাইয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি ছাড়াও লড়াইয়ে ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা এবং ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমও। তবে মঙ্গলবার সেই জল্পনার অবসান ঘটান কমলাই। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে লড়ার জন্য ডেমোক্র্যাট শিবিরের অন্দরে প্রয়োজনীয় সমর্থন পেয়েছেন। তবে বিপুল সমর্থন পেলেও এখনই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে পাকাপাকিভাবে কমলার নাম ঘোষণা করছে না ডেমোক্র্যাটরা। সে জন্য এখনও সপ্তাহ দু’য়েকের অপেক্ষা। অগস্টের ৭ তারিখ আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্টির মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে। তার আগে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন কী বার্তা দেন, তা নিয়ে কৌতূহল সব মহলেই।