উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন বহু। উদ্ধার কাজ চলছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটির লোকো পাইলট দাবি করলেন তিনি দুর্ঘটনার আগে বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন। এর ফলে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
রেল সূত্রে জানা গেছে, লোকো পাইলট ত্রিভুবনের বিস্ফোরণের দাবি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রেল। দুর্ঘটনার পেছনে কোনো রকম নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ১৭ জুন উত্তরবঙ্গে চটেরহাট এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ওই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড এবং মালগাড়ির চালক-সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৫০ জনেরও বেশি। সেই বিভীষিকা ভোলার আগেই ফের দুর্ঘটনাগ্রস্থ হল ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে চন্ডিগড় থেকে ডিব্রুগড় যাচ্ছিল ট্রেনটি। মাঝপথে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় ঝুলাই স্টেশনের কাছে এক্সপ্রেস ট্রেনটির ৮-১০ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হলেও মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতি মধ্যেই রেলমন্ত্রক মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের আড়াই লক্ষ এবং অল্প চোটগ্রস্থদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় তরফে জানানো হয়েছে, দুটি রাজ্যের সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে। যোগী আদিত্যনাথের কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে আধিকারিকরা পৌঁছেছেন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহ যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।