বাঙালির পশ্চিম ভ্রমণ-জল হাওয়ায় রোগজীর্ণ শরীর সারানোর স্থানটি এখন অনেকটাই তার সেই তকমা হারিয়েছে। গিরিডি । নামেই তার বিশেষ পরিচিতি। তবে আরও একটি কারণে এই স্থানের মাহাত্ম। সংবিধানের প্রথম সংকলন আঁকড়ে রেখেছে ঝাড়খণ্ডের সবুজ-টিলার জনপদ।
বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড তৈরি হয় ২০০০ সালে। আর এই কুড়ি বছরে পা রেখে সাবালক ঝাড়খণ্ডে বারে বারে গণতন্ত্রের ‘ধজিয়া পড়া দিয়া’ মার্কা ব্যাপার হয়েছে।
দেশের অন্যত্র গণতন্ত্র বারে বারে বিধায়ক-সাংসদদের হস্তগত করা মানে ঘোড়া কেনা-বেচায় শিহরিত। এরই মাঝে মুখ টিপে হাসছে সংবিধান গ্রন্থটি। তাও আবার গিরিডির মতো স্থানে। যেখানে মাওবাদী হামলায় বহুবার রক্তাক্ত হয়েছে গণতন্ত্রের ভোট প্রক্রিয়া।
ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন। শুরু হয়েছে প্রচার। দলত্যাগ, বিধায়ক কেনার প্রক্রিয়ায় চড়ছে রঙ। এসব নিয়েই চলছে ভোটের সাতকাহন। এই নির্বাচনের মাঝেই মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি প্রবল আলোচিত।
এমনই অবস্থায় দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে সংবিধান দিবস। ধর্ম নিরপেক্ষ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের স্বীকৃতি রয়েছে এই সংবিধান পুস্তকে। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান তৈরি হয়। চমকপ্রদ ঘটনা। সেই প্রথম সংবিধান পুস্তক রক্ষিত আছে গিরিডি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। যত্ন করেই বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মূল সূত্রাবলী রক্ষা করছেন গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।
গিরিডি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের তরফে বলা হয়েছে। সংবিধানের আসল কপি কলকাতায় রাজা রামমোহন ফাউন্ডেশনকে একবার দেওয়া হয়েছিল গবেষণার জন্য । এতে প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ ও ড. আম্বেদকরের সই রয়েছে। অনেকেই আসেন এই বই দেখতে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গর্ব এটি। কৌতূহলের কেন্দ্রে রয়েছে প্রথম সংবিধান পুস্তক।